এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে নিজেদের প্রথম জয় পেলো রাজশাহী বিভাগ। গতকাল সানজামুল – তাইজুলের ঘূর্ণিতে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হওয়া বরিশাল আজ দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট হয়েছে মাত্র ৬০ রানে। যার ফলে চার ৮ সেশন হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করলো রাজশাহী।
এর আগে গতকাল বিকেএসপির তিন নাম্বার মাঠে বরিশালের মুখোমুখি হয় জহুরুল ইসলামের দল। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল চাপে পড়েছিলো মোহর শেখের তাণ্ডবে। বরিশালের পক্ষে কেউ বড় প্রতিরোধ গড়তে না পারায় মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে মঈনের ব্যাটে। রাজশাহীর পক্ষে সানজামুল এবং তাইজুল ৪ টি করে উইকেট শিকার করেন।
বরিশালের করা ৮২ রানকে সামনে রেখে নিজেদের প্রথম ইনিংসে খুব বেশীদূর যেতে পারেনি টিম রাজশাহীও। তানজিদ তামিমের ঝড়ো ৩৬ রানের সাথে অভিজ্ঞ জুনায়েদের ব্যাটে ৪৩ এবং তাইজুলের ৩৭ রানের উপর ভর করে ১৫১ রানের পুঁজি পায় দলটি। বরিশালের বোলারদের পক্ষে ৬ উইকেট শিকার করেন সোহাগ গাজী। প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে এগিয়ে থেকে শেষ বিকেলে বরিশালকে আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহী।
৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালের শুরুটা হয়নি। দলীয় ৪ রানের মাথায় বরিশালের প্রথম উইকেটের পতন ঘটায় তাইজুল। এরপর দিনের বাকি অংশ মঈনুল এবং রাব্বি কাটিয়ে দিলেও দিনশেষে মোট পতন ঘটেছিলো ২১ উইকেটের।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এসে সানজামুল – তাইজুলের স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দলটির ব্যাটসম্যান। সবমিলিয়ে ৩৪ ওভারে মাত্র ৬০ রানে অলআউট হয় ফজলে রাব্বির দল। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে মঈনুলের ব্যাটে। রাজশাহীর পক্ষে সানজামুল ৬ এবং তাইজুল ৪ উইকেট শিকার করে। মাত্র চার সেশনে শেষ হওয়া ম্যাচে রাজশাহী জয় পায় ইনিংস এবং নয় রানের ব্যবধানে!

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
বরিশাল (১ম ইনিংস) – ৮২/১০
মঈন ১৮, সালমান ১৩
সানজামুল ১৮/৪, তাইজুল ৩৯/৪
রাজশাহী (১ম ইনিংস) – ১৫১/১০
জুনায়েদ ৪৩, তাইজুল ৩৭, তামিম ৩৬
সোহাগ গাজী ৬৫/৫, মনির ৪/১
বরিশাল (২য় ইনিংস) – ৬০/১০
মঈনুল ২৮, রাব্বি ১৪
সানজামুল ১৫/৬, তাইজুল ২৩/৪
ফলাফল: রাজশাহী ইনিংস এবং ৯ রানে জয়ী।