২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সৌম্য ঝড়েও রক্ষা হলোনা বাংলাদেশের!

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ , ২০২১ ৪:২৭

শুরুতেই টাইগার বোলারদের দাপট, এরপরের গল্পে ফিলিপস সেরা। ব্যাটিং কিংবা বোলিং সব খানেই দেখিয়েছেন পারদর্শীতা। ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ সৌম্যর ব্যাটিং ঝড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখলেও হয়নি শেষ রক্ষা। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হার মেনেছে ২৮ রানে!

এরআগে নেপিয়ারের ম্যাকলীন পার্কে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন মার্টিন গাপটিল ও ফিন এলেন। ওপেনিং জুটিতে দুইজনে যোগ করেন ৩৬ রান। ব্যাক্তিগত ১৭ রানে তাসকিন আহমেদের বলে ফিন এলেন সাজঘরে ফিরলে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

এলেনের পর ক্রিজে আসেন ডেবন কনওয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ রান যোগ করে ব্যাক্তিগত ১৯ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বলে সাজঘরে ফিরেন মার্টিন গাপটিল। গাপটিলের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। উইল ইয়াং ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ১৫ রানে শরিফুল ইসলামের বলে সাজঘরে ফিরেন ডেবন কনওয়ে। কনওয়ের পর ক্রিজে আসেন গ্লেন ফিলিপস।চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেন উইল ইয়াং ও গ্লেন ফিলিপস। ব্যাক্তিগত ১৪ রানে মাহেদি হাসানের প্রথম শিকার হয়ে উইল ইয়াং সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

ইয়াংয়ের পর ক্রিজে আসেন মার্ক চ্যাপম্যান। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৭ রান যোগ করেই মাহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মার্ক চ্যাপম্যান। চ্যাপম্যানের পর ক্রিজে আসেন ডেরিয়েল মিচেল। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে ফিলিপস-মিচেল যোগ করেন ৬২ রান। নিউজিল্যান্ড ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৭৩ রান।এরপর হানা দেয় বৃষ্টি। পরে আর ব্যাটিংয়ে নামে নি নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে গ্লেন ফিলিপস ৫৮(৩১)* রান, ডেরিয়েল মিচেল ৩৪(১৬)* রান ও মার্টিন গাপটিল ২১(১৮) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মাহেদি হাসান ২ উইকেট, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএসএল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৭০ রান। ১৭০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম শেখ। ওপেনিং জুটিতে তারা দুইজন যোগ করেন ১৩ রান। ব্যাক্তিগত ৬ রানে হামিশ বেনেটের প্রথম শিকার হয়ে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

লিটনের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য-নাইম যোগ করেন ৮১ রানের পার্টনারশিপ। সৌম্য সরকার ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি হাকান। ব্যাক্তিগত ৫১ রানে টিম সাউদির প্রথম শিকার হয়ে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ৩৮ রানে গ্লেন ফিলিপসের বলে সাজঘরে ফিরেন নাইম শেখ।

নাইমের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হুসাইন। আফিফ ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ২১ রানে এডাম মিলনের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। রিয়াদের পরপরই ব্যাক্তিগত ২ রানে এডাম মিলনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আফিফ হুসাইন ধ্রুব।আফিফের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। মাহেদি আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ১ রানে টিম সাউদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন।

মিথুনের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৩ রান যোগ করে হেমিশ বেনেটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাইফউদ্দিনের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। মাহেদি-তাসকিন মিলে শেষ পর্যন্ত খেলে আসেন বাকি বলগুলো।

শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য সরকার ৫১(২৭) রান, মোহাম্মদ নাইম শেখ ৩৮(৩৫) রান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২১(১২) রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টিম সাউদি, হামেশ বেনেট ও এডাম মিলনে ২টি করে উইকেট ও গ্লেন ফিলিপস ১টি উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ


নিউজিল্যান্ড ১৭৩/৫, (১৭.৫ ওভার)
ফিলিপ্স ৫৮, মিচেল ৩৪, গাপটিল ২১
মেহেদী ২/৪৫, শরিফুল ১/১৬

বাংলাদেশ ১৪২/৭ (১৬ ওভার)
সৌম্য ৫১, নাঈম ২৮, মাহমুদউল্লাহ ২১
সাউদি ২/২১, ২/৩১

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- গ্লেন ফিলিপস।

,

মতামত জানান :