দিনের শুরুটা হতাশার হলেও তামিমের মারমুখী ব্যাটিংয়ে কেটেছিলো সংশয়। প্রথম সেশনে ফিফটি তুলে নেওয়া তামিম দ্বিতীয় সেশনে ফিরেছেন নার্ভাস নাইন্টিনে। শান্তর মেইডেন সেঞ্চুরির দিনে অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাটে রান। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০২ রান!
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কায় বিপক্ষে টস ভাগ্যে জয়ী সফরকারী অধিনায়ক মুমিনুল নিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। একাদশে তিন পেসার ও দুই স্পিনার রেখে একাদশ ঘোষণার পর তরুণ সাইফকে সাথে নিয়ে ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শূন্য রানে সাইফের বিদায়। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৮ রান!
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিমের সঙ্গী তরুণ শান্ত। একপ্রান্ত আগলে রেখে তামিম চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন লঙ্কান পেসারদের। ওয়ানডে গতিতে ফিফটি তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে শুরুর বিপদ থেকে রক্ষা করেন তামিম ইকবাল। অপরপ্রান্তে শান্ত খেলতে থাকেন দায়িত্বশীল ইনিংস। লাঞ্চ ব্রেকের এক উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে হারায় তামিম ইকবালের উইকেট। দারুণ খেলতে থাকা তামিম ফিরেন ঠিক ৯০ রানে। ১০১ বলের ইনিংসে ছিলো ১৫ বাউন্ডারি।
তামিমের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে শান্তর সাথে যুক্ত হোন অধিনায়ক মুমিনুল হক। দিনের পরের গল্পে শান্তর মেইডেন সেঞ্চুরির সাথে মুমিনুলের ব্যাটে বড় রানের আভাস। সাবলীল ব্যাটিংয়ে মুমিনুল – শান্ত খেলতে থাকেন স্বাগতিক বোলারদের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাঁরা সংগ্রহ করে হার না মানা ১৫০ রান! প্রথম দিন শেষে শান্ত ১২৬ ও মুমিনুল ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। লঙ্কানদের পক্ষে ২ টি উইকেট শিকার করেন ফার্নান্দো।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (প্রথম দিন শেষে)
বাংলাদেশ ৩০২/২(৯০)
শান্ত ১২৬*, মুমিনুল ৬৪*, তামিম ৯০, সাইফ ০
ফার্নান্দো ৬১/২