মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি তামিম ইকবাল খান।
বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ যোগ করে মাত্র ৫ রান। ব্যাক্তিগত শূন্য রানে চামিরার বলে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
লিটনের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-সাকিব যোগ করেন ৩৮ রান। ব্যাক্তিগত ১৫ রানে ধানুষ্কা গুনাথিলাকার বলে সাকিব সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-মুশফিক যোগ করেন ৫৬ রান। ব্যাক্তিগত ৫২ রানে ধানাঞ্জয় ডি সিলভার প্রথম শিকার হয়ে তামিম ইকবাল সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।
তামিমের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। নিজের প্রথম বলে ধানাঞ্জয় ডি সিলভার দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন। মিথুনের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিক-রিয়াদ মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে গড়েন ১০৯ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ৮৪ রানে সান্দাকানের বলে মুশফিকুর রহিম সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।
মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন। আফিফ ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ৫৪ রানে ধানাঞ্জয় ডি সিলভার তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আফিফ-সাইফ মিলে ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে মুশফিকুর রহিম ৮৪(৮৭) রান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫৪(৭৬) রান ও তামিম ইকবাল ৫২(৭০) রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ধানাঞ্জয় ডি সিলভা ৩ উইকেট, গুনাথিলাকা, চামিরা ও সান্দাকান ১টি করে উইকেট নেন।
২৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শ্রীলঙ্কার পক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন ধানুষ্কা গুনাথিলাকা ও কুসাল পেরেরা। ওপেনিং জুটিতে গুনাথিলাকা-পেরেরা মিলে যোগ করেন ৩০ রান। ব্যাক্তিগত ২১ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের প্রথম শিকার হয়ে ধানুষ্কা গুনাথিলাকা সাজঘরে ফিরলে শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
গুনাথিলাকার পরে ক্রিজে আসেন পাতুম নিশাঙ্কা। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ৮ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান পাতুম নিশাঙ্কা। নিশাঙ্কার পরে ক্রিজে আসেন কুসাল মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে পেরেরা-মেন্ডিস যোগ করেন ৪১ রান। ব্যাক্তিগত ২৪ রানে সাকিব আল হাসানের বলে কুসাল মেন্ডিস প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। মেন্ডিসের পর ক্রিজে আসেন ধানাঞ্জয় ডি সিলভা। সিলভা ক্রিজে আসার পরপরই নিজের উইকেট হারান কুসাল পেরেরা। ব্যাক্তিগত ৩০ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন কুসাল পেরেরা।
পেরেরার পর ক্রিজে আসেন আশেন বান্দারা। বান্দারা ক্রিজে আসার পরপরই নিজের উইকেট হারান ডি সিলভা। ব্যাক্তিগত ৯ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের তৃতীয় শিকার হোন তিনি। ডি সিলভার পর ক্রিজে আসেন দাসুন শানাকা। শানাকা ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ৩ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের চতুর্থ শিকার হোন আশেন বান্দারা।
বান্দারার পর ক্রিজে আসেন ওয়ানিদু হাসারাঙা। ৭ম উইকেট জুটিতে হাসারাঙা-শানাকা যোগ করেন ৪৭ রান। ব্যাক্তিগত ১৪ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের প্রথম শিকার হয়ে দাসুন শানাকা প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। শানাকার পর ক্রিজে আসেন ইসুরু উদানা। ৮ম উইকেট জুটিতে হাসারাঙা-উদানা ৬০ রান যোগ করেন। ব্যাক্তিগত ৭৪ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ওয়ানিদু হাসারাঙা সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।
হাসারাঙার পর ক্রিজে আসেন লাক্সান সান্দাকান। সান্দাকান ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ২১ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ইসুরু উদানা। উদানার পর ক্রিজে আসেন চামিরা। ব্যাক্তিগত ৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকার হয়ে চামিরা সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত ৪৮.১ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ব্যাট হাতে হাসারাঙা ৭৪(৬০) রান, কুসাল পেরেরা ৩০(৫০) রান ও গুনাথিলাকা ২১(১৯) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ ৪ উইকেট, মুস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ উইকেট ও সাকিব আল হাসান ১টি উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৩৩ রানে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ একাদশঃ- তামিম(ক্যাপ্টেন), লিটন, সাকিব, মুশফিক, মিথুন, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ, সাইফউদ্দিন, মিরাজ, তাসকিন ও মুস্তাফিজ।
শ্রীলঙ্কা একাদশঃ- গুনাথিলাকা, পেরেরা (ক্যাপ্টেন), নিশাঙ্কা, মেন্ডিস, ডি সিলভা, বান্দারা, শানাকা, হাসারাঙা, উদানা, সান্দাকান ও চামিরা।