১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সৈকত-সোহান ঝড়ে শেখ জামালের জয়

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
রবিবার, ২০ জুন , ২০২১ ৫:৪৪

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) এর সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ পেয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন রনি তালুকদার ও রুবেল মিয়া। ওপেনিং জুটিতে রনি-রুবেল যোগ করেন ১৭ রান। ব্যাক্তিগত ১১ রানে ইলিয়াস সানির প্রথম শিকার হয়ে রনি তালুকদার সাজঘরে ফিরলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

রনির পর ক্রিজে আসেন এনামুল হক বিজয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রুবেল-বিজয় মিলে গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ২১ রানে ইলিয়াস সানির দ্বিতীয় শিকার হয়ে রুবেল মিয়া সাজঘরে ফিরলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। রুবেলের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মিথুন-বিজয় গড়েন ৪০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ২৭ রানে জিয়াউর রহমানের বলে এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

বিজয়ের পর ক্রিজে আসেন রকিবুল হাসান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মিথুন-রকিবুল মিলে গড়েন ৭৩ রানের পার্টনারশিপ। মোহাম্মদ মিথুন এই টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি তুলে নেন। মোহাম্মদ মিথুন ও রকিবুল হাসান মিলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে আসেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ মিথুন ৬৭(৪২)* রান, রকিবুল হাসান ৩৪(১৯)* রান ও এনামুল হক বিজয় ২৭(২৮) রান করেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে বল হাতে ইলিয়াস সানি ২ উইকেট ও জিয়াউর রহমান ১টি উইকেট নেন।

১৬৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন সৈকত আলী ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ওপেনিং জুটিতে সৈকত-আশরাফুল গড়েন ১০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ৫ রানে শরিফুল ইসলামের বলে মোহাম্মদ আশরাফুল সাজঘরে ফিরলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

আশরাফুলের পর ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৈকত-ইমরুল মিলে গড়েন ১০০ রানের বিশাল পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ৬০ রানে রুবেল হোসেনের বলে সৈকত আলী সাজঘরে ফিরলে তাদের অসাধারণ পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সৈকতের পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। সোহান ক্রিজে আসার পরপরই নিজের উইকেট হারান ইমরুল কায়েস। ব্যাক্তিগত ৪৪ রানে নাহিদুল ইসলামের বলে সাজঘরে ফিরেন ইমরুল কায়েস।

ইমরুলের পর ক্রিজে আসেন তানভীর হায়দার। ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে জয়সূচক ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে সৈকত আলী ৬০(৩৬) রান, নুরুল হাসান সোহান ৪৪(১৭)* রান ও ইমরুল কায়েস ৪৪(৪০) রান করেন। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে বল হাতে নাহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।

ফলাফলঃঃ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সৈকত আলী।

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের একাদশঃ- রনি, রুবেল, বিজয়(ক্যাপ্টেন), মিথুন, রকিবুল, নাহিদুল, অলক, মুনির, রুবেল, শরিফুল ও মুস্তাফিজ।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাদশঃ- সৈকত, আশরাফুল, ইমরুল, সোহান(ক্যাপ্টেন), তানভীর, জিয়াউর, শুভ, সালাউদ্দিন, এনামুল জুনিয়র, ইলিয়াস ও এবাদত।

, , , , ,

মতামত জানান :