২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুশফিক নৈপুণ্যে মোহামেডানকে হারালো আবাহনী

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
রবিবার, ২০ জুন , ২০২১ ১০:২৬

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগের সিপার লিগের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক শুভাগত হোম।

প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে আবাহনী লিমিটেডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মুনিম শাহরিয়ার ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে মুনিম-লিটন যোগ গড়েন ২৮ রান। ব্যাক্তিগত ৪ রানে রুহেল মিয়ার প্রথম শিকার হয়ে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে আবাহনী লিমিটেড তাদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

লিটনের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হুসাইন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত-শাহরিয়ার মিলে গড়েন ৪০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ২৭ রানে আবু জায়েদ রাহির বলে নাজমুল হুসাইন শান্ত সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। শান্তের পরে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ৪৩ রানে রুহেল মিয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মুনিম শাহরিয়ার। মুনিমের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক-নাইম মিলে গড়েন ৫৫ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ২৪ রানে আসিফ হাসানের প্রথম শিকার হয়ে নাইম শেখ সাজঘরে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের।

নাইমের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ক্রিজে এসে নামের পাশে ১০ রান যোগ করেই রুহেল মিয়ার তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফের পরে ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত৷ ক্রিজে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করে নামের পাশে ১৪ রান যোগ করেই আসিফ হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মোসাদ্দেকের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ক্রিজে এসে নিজের প্রথম বলেই আসিফ হাসানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাইফউদ্দিনের পর ক্রিজে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। সাকিবকে নিয়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিম খেলেন পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে আবাহনী লিমিটেড। আবাহনী লিমিটেডের পক্ষে ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহিম ৫৭(৩২)* রান, মুনিম শাহরিয়ার ৪৩(২৭) রান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ২৭(১৭) রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে রুহেল মিয়া ও আসিফ হাসান ৩টি করে উইকেট ও আবু জায়েদ রাহি ১টি উইকেট নেন।

১৯৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মোহামেডানের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন অভিষেক মিত্রা ও আব্দুল মজিদ। ইনিংসের প্রথম ওভারে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে অভিষেক মিত্রাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

অভিষেকের পর ক্রিজে আসেন শামসুর রহমান শুভ৷ একই ওভারে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শামসুর রহমান শুভ। শামসুরের পর ক্রিজে আসেন ইরফান শুক্কুর। ক্রিজে এসে খুব দ্রুতই নামের পাশে ২৭ রান যোগ করে মোসাদ্দেক হোসেনের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ইরফান শুক্কুর। ইরফানের পর ক্রিজে আসেন নাদিফ চৌধুরী। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে মোসাদ্দেক হোসেনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান নাদিফ চৌধুরী।

নাদিফের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ১০ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান আব্দুল মজিদ। মজিদের পর ক্রিজে আসেন শুভাগত হোম। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে আরাফাত সানির বলে সাজঘরে ফিরেন শুভাগত হোম।

শুভাগতের পর ক্রিজে আসেন আবু হায়দার রনি। সপ্তম উইকেট জুটিতে রনি-মাহমুদুল মিলে গড়েন ৭৮ রানের বিশাল পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ৩৭ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে মাহমুদুল হাসান সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। মাহমুদুলের পর ক্রিজে আসেন আসিফ হাসান। রনি-আসিফ মিলে ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন। আবু হায়দার রনি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাকান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে আবু হায়দার রনি ৫৩(৪৩)* রান, মাহমুদুল হাসান ৩৭(৩৬) রান ও ইরফান শুক্কুর ২৭(১৮) রান করেন। আবাহনী লিমিটেডের পক্ষে বল হাতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি করে উইকেট। আরাফাত সানি ও তানজিম হাসান সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- আবাহনী লিমিটেড ৬০ রানে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- মুশফিকুর রহিম।

আবাহনী লিমিটেড একাদশঃ- মুনিম, লিটন, শান্ত, মুশফিক(ক্যাপ্টেন), নাইম, আফিফ, মোসাদ্দেক, সাইফউদ্দিন, সাকিব, রানা, আরাফাত।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব একাদশঃ- অভিষেক, মজিদ, শামসুর, ইরফান, নাদিফ, মাহমুদুল, শুভাগত, রনি, আসিফ, রাহি ও রুহেল।

, , , , ,

মতামত জানান :