মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিপিএল টি-টোয়েন্টি লিগের সুপার লিগের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংক দেলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন সৈকত আলী ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ব্যাক্তিগত ১ রানে শফিকুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সৈকত আলী।
সৈকতের পর ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস। ইমরুল ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ৪ রানে শরিফুল্লাহর বলে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আশরাফুলের পর ক্রিজে আসেন তানভীর হায়দার।ক্রিজে এসে নামের পাশে ১ রান যোগ করেই শফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন তানভীর হায়দার।
তানভীরের পর ক্রিজে আসেন ইলিয়াস সানি। ইমরুল-ইলিয়াস মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৪ রান রান। ব্যাক্তিগত ১০ রানে সাইফ হাসানের বলে ইলিয়াস সানি প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সানির পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। সোহান ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ২৭ রানে রেজাউর রহমান রেজার প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ইমরুল কায়েস।
ইমরুলের পর ক্রিজে আসেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৫ রান যোগ করে রেজাউর রহমান রেজার দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। শুভর পর ক্রিজে আসেন জিয়াউর রহমান। ক্রিজে এসে ৯ রান যোগ করেই কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউরের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ এনামুল। এনামুল ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ৪২ রানে (obstructing the field ) ফিরেন নুরুল হাসান সোহান। সোহানের পর ক্রিজে আসেন এবাদত হোসেন চৌধুরী। ইনিংসের শেষ বলে ব্যাক্তিগত ১৩ রানে রেজাউর রহমান রেজার তৃতীয় শিকার হোন মোহাম্মদ এনামুল ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে নুরুল হাসান সোহান ৪২(২৪) রান, ইমরুল কায়েস ২৭(২৮) রান ও মোহাম্মদ এনামুল ১৩(১৫) রান করেন। প্রাইম ব্যাংক দেলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে বল হাতে রেয়জাউর রহমান রেজা ৩ উইকেট, শফিকুল ইসলাম ২ উইকেট, শরিফুল্লাহ, সাইফ হাসান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ১টি করে উইকেট নেন।
১২৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রাইম ব্যাংক দেলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন ইমরানুজ্জামান ও সাইফ হাসান। ওপেনিং জুটিতে তারা গড়েন ৬৫ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ২০ রানে সোহরাওয়ার্দী শুভর প্রথম শিকার হয়ে ইমরানুজ্জামান সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।
ইমরানের পর ক্রিজে আসেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফজলে-সাইফ যোগ করেন ২৪ রান। ব্যাক্তিগত ৬০ রানে সোহরাওয়ার্দী শুভর দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাইফ হাসান প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সাইফের পর ক্রিজে আসেন মার্শাল আইয়ুব। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ফজলে-মার্শাল যোগ করেন ২৩ রান৷ ব্যাক্তিগত ২১ রানে মোহাম্মদ আশরাফুলের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। রাব্বির পর ক্রিজে আসেন শামীম হোসেন। শামীম ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ১২ রানে মোহাম্মদ আশরাফুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মার্শাল আইয়ুব। মার্শালের পর ক্রিজে আসেন শরিফুল্লাহ। শামীম-শরিফ মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
শেষ পর্যন্ত ১৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক দেলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। প্রাইম ব্যাংক দেলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে সাইফ হাসান ৬০(৩৩) রান, ফজলে মাহমুদ রাব্বি ২১(২১) রান ও ইমরানুজ্জামান ২০(২৪) রান করেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহরাওয়ার্দী শুভ।
ফলাফলঃ- প্রাইম ব্যাংক দেলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৬ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সাইফ হাসান।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাদশঃ- সৈক্ত, আশরাফুল, ইমরুল, তানভীর, ইলিয়াস, সোহান(ক্যাপ্টেন), শুভ, জিয়াউর, এনামুল, এদাদত ও সালাউদ্দিন।
প্রাইম ব্যাংক দেলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের একাদশঃ- ইমরানুজ্জামান, সাইফ, ফজলে, মার্শাল, শামীম, শরিফুল্লাহ, ফরহাদ(ক্যাপ্টেন), রাব্বি, এনামুল, রেজা ও শফিকুল।