শত শত মন জুড়ানো উপন্যাস রচনাকারী কবিদেরও একটা সময় হার মানতে হয় বয়সের কাছে। মন না চাইলেও তুলে রাখতে হয় কলম-খাতা। তবে তার রঙিন রচনা গুলো চির অমর হয়ে থাকে। ক্রিকেট মাঠে এমন অনেক উপন্যাসের জন্ম দেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বয়সটাও যে ৩৬ ছুঁই ছুঁই। এবার যে আস্তে আস্তে করে বিদায় নেওয়ার পালা ২২ গজ থেকে। যার শুরুটা হলো ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাট দিয়েই।
- লিখেছেন- এ আই তুষার
২০০৯ সালের ৯ জুলাই কিন্সটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে এই ফরম্যাটে যাত্রা শুরু হয় রিয়াদের। যার শেষ হলো জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে এক ম্যাচ টেস্ট সিরিজেই। প্রায় ১৬ মাস পর দলে ফিরে প্রথমবারের মতো দেড়শত রানের মাইলফলকে পৌঁছান মি.সাইলেন্ট কিলার। মাঝের এক যুগের পথচলায় রিয়াদ বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে খেলেছেন ৫০ টি ম্যাচ। ৩৩.১১ গড়ে ২৯১৪ রান করেছে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১১টি অর্ধশতকের সাহায্যে, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৫০। যেখানে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৩৩৮ টি ও ওভার বাউন্ডারি ২৪ টি। সেই সাথে বোলিংয়ে ৩.৪৩ গড়ে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন, সেরা ৫১ রানে ৫ উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট রয়েছে একবার এবং ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ নিয়েছেন ৩৮ টি।
অধিনায়ক হিসাবে ৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া রিয়াদ অধিনায়ক হিসেবে দলকে জয়ী করিয়েছেন মাত্র এক ম্যাচে, ড্র একটিতে, বিপরীতে হার ৪ ম্যাচে। অধিনায়ক রিয়াদ এই ৬ ম্যাচে ৫৯.৪৪ গড়ে করেছেন ৫৩৫ রান।
টেস্ট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ও টি-২০ চালিয়ে যাবেন রিয়াদ।
