১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই , ২০২১ ৮:২৯

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মাধেভেরে ও মারুমানি। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১০ রান। ব্যক্তিগত ৭ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে মারুমানি প্যাভিলিয়নে ফিরলে জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

মারুমানির পর ক্রিজে আসেন রাগিস চাকাভা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চাকাভা-মাধেভেরে গড়েন ৬৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৩ রানে সাকিব আল হাসানের বলে মাধেভেরে সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। মাধেভেরের পর ক্রিজে আসেন ডিওন মায়ারস। মায়ারস ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪৩ রানে রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন রাগিস চাকাভা। চাকাভার পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে শরিফুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা।

রাজার পর ক্রিজে আসেন মোসাকান্দা। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৬ রান যোগ করেই সৌম্য সরকারের বলে সাজঘরে ফিরেন মোসাকান্দা।মোসাকান্দার পর ক্রিজে আসেন রায়ান বার্ল। বার্ল ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৩৫ রানে শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ডিওন মায়ারস। মায়ারসের পর ক্রিজে আসেন জংয়ে।৭ম উইকেট জুটিতে জংয়ে-বার্ল গড়েন ২১ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৮ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে জংয়ে সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

জংয়ের পর ক্রিজে আসেন মাসাকাদজা। মাসাকাদজা ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৪ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন রায়ান বার্ল। বার্লের পর ক্রিজে আসেন এনগারাভা। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন এনগারাভা। এনগারাভার পর ক্রিজে আসেন মুজারাবানি। ক্রিজে এসেই দ্রুত নামের পাশে ৮ রান যোগ করেই মুস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরেন মুজারাবানি।

শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্যাট হাতে রাগিস চাকাভা ৪৩(২২) রান, ডিওন মায়ারস ৩৫(২২) রান ও মাধেভেরে ২৩(২৩) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি করে উইকেট, সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট নেন।

১৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে সৌম্য-নাইম গড়েন ১০২ রানের পার্টনারশিপ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৫০ রানে রান আউট হয়ে সৌম্য সরকার প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ১৫ রান যোগ করে রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। সোহান-নাইম মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১৫৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নাইম শেখ ৬৩(৫১)* রান, সৌম্য সরকার ৫০(৪৫) রান ও নুরুল হাসান সোহান ১৬(৮)* রান করেন। জিম্বাবুয়ের কোনো বোলার উইকেটের দেখা পাননি।

ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৮ উইকেটে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সৌম্য সরকার।

জিম্বাবুয়ে একাদশঃ- মাধেভেরে, মারুমানি, চাকাভা, মায়ারস, রাজা(ক্যাপ্টেন), মোসাকান্দা, বার্ল, জংয়ে, মাসাকাদজা, এনগারাভা ও মুজারাবানি।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, সৌম্য, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), সোহান, লিটন, সাকিব, আফিফ, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ ও শরিফুল।

, , , , ,

মতামত জানান :