মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন ফিলিপি ও ক্যারি। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১৩ রান। ব্যক্তিগত ১১ রানে মাহেদি হাসানের বলে ক্যারি সাজঘরে ফিরলে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
ক্যারির পর ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। মার্শ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১০ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ফিলিপি। ফিলিপির পর ক্রিজে আসেন হেনরিকস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হেনরিকস-মার্শ গড়েন ৫৭ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাকিব আল হাসানের বলে হেনরিকস প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। হেনরিকসের পর ক্রিজে আসেন ম্যাথু ওয়েড। ওয়েড ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪৫ রানে শরিফুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মিচেল মার্শ।
মার্শের পর ক্রিজে আসেন টার্নার। টার্নার ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৪ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ম্যাথু ওয়েড। ওয়েডের পর ক্রিজে আসেন এগার।ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই মুস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন এগার। এগারের পর ক্রিজে আসেন মিচেল স্টার্ক। স্টার্ক ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৩ রানে শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন টার্নার। টার্নারের পর ক্রিজে আসেন এন্ডু টায়। স্টার্ক-টায় মিলে ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে মিচেল মার্শ ৪৫(৪২) রান, হেনরিকস ৩০(২৫) রান ও মিচেল স্টার্ক ১৩(১০)* রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট, মাহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট নেন।
১২২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৯ রান। ব্যক্তিগত শূন্য রানে মিচেল স্টার্কের প্রথম শিকার হয়ে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৯ রানে জস হ্যাজলউডের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন নাইম শেখ। নাইমের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-মাহেদি গড়েন ৩৭ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৬ রানে এন্ডু টায়ের বলে সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই এগারের বলে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২৩ রানে এডাম জাম্পার প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহেদি হাসান। মাহেদির পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে আফিফ-সোহান মিলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে আফিফ হোসেন ৩৭(৩১)* রান, সাকিব আল হাসান ২৬(১৭) রান ও মাহেদি হাসান ২৩(২৪) রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বল হাতে এস্টন এগার, জস হ্যাজলউড, এডাম জাম্পা ও মিচেল স্টার্ক ১টি করে উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৫ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- আফিফ হোসেন ধ্রুব।
অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ- ফিলিপি, ক্যারি, মার্শ, হেনরিকস, ওয়েড (ক্যাপ্টেন), টার্নার, এগার, স্টার্ক, টায়, জাম্পা, হ্যাজলউড।
বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, সৌম্য, সাকিব, মাহেদি, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আফিফ, সোহান, শামীম, মুস্তাফিজ, শরিফুল ও নাসুম।