একুশ বছর বয়সী তরুণ; টগবগে রক্ত! অভিজ্ঞতার ঝুলিটাও সমৃদ্ধ নয় খুব বেশী। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মতো, খেলেছেন পরিণত এক ইনিংস। যেখানে ফুটে উঠেছিলো ম্যাচিউরিটি। তাইতো তারুণ্য কোনো বাঁধা নয় আফিফের কাছে।
৫৯ রানে চার উইকেট সাজঘরে, অজিদের দেওয়া ১২২ রানের লক্ষ্যটিও তখন যেনো কঠিন হয়ে উঠেছিলো। দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে বাইশ গজে আফিফের আগমন। উইকেট বুঝে উঠার আগেই মার্শ ধরিয়েছিলেন কাঁপন! রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যাওয়া আফিফ-ই হয়েছেন ম্যাচ জয়ের নায়ক।
পঞ্চম উইকেটে সোহানের সাথে অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখানো আফিফ শট খেলেছেন উইকেটের সবদিকেই। পরিস্থিতিকে দু-হাত ভরে দেওয়া আফিফ দেখিয়েছেন ম্যাচিউরিটিও। খেলেছেন ভয়ডরহীন এক ইনিংস! স্টার্কের বলে অসাধারণ সেই কাভার ড্রাইভ সেটির’ই প্রমাণ।
অজিদের বিপক্ষে অসাধারণ এই ইনিংসের পুরষ্কারও পেয়েছেন হাতেনাতে, হয়েছেন ম্যাচ সেরা। পুরষ্কার বিতরণী পর্বে গতকালের(দ্বিতীয় টি-২০) ইনিংসটি নিয়ে আফিফ বলেন, ‘ভাবছিলাম আমার শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা উচিত। আমাদের(আফিফ-সোহান) কেবল শান্ত থাকতে হয়েছিল এবং উইকেটের চারপাশ জুড়ে শটস খেলতে হয়েছিল। এটাই মূল পরিকল্পনা ছিলো।’
ম্যাচ উইনিং ৫৬ রানের জুটিতে সোহানের অবদানকে বড় করে দেখা আফিফ তারুণ্যের চেয়ে দলের জয়কে বড় করে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘সোহান ভাইও ভালো খেলেছে এবং দলের ওপর থেকে চাপ দূর করেছে। আপনি তরুণ বা অভিজ্ঞ সেটি কোন ব্যাপার নয়। শুধু দলের জন্য খেলে যেতে হবে এবং ম্যাচ জেতাতে হবে।’
