১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রিয়াদ-মুস্তাফিজ নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
শুক্রবার, ৬ আগস্ট , ২০২১ ১১:১৫

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৩ রান। ব্যক্তিগত ১ রানে জস হ্যাজলউডের প্রথম শিকার হয়ে মোহাম্মদ নাইম শেখ সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

নাইমের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ২ রানে এডাম জাম্পার প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সৌম্য সরকার। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-রিয়াদ গড়েন ৪৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৬ রানে এডাম জাম্পার দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ক্রিজে এসে দ্রুতই নামের পাশে ১৯ রান যোগ করে রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

আফিফের পরে ক্রিজে আসেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৩ রান যোগ করে জস হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শামীমের পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান।ক্রিজে এসে নামের পাশে ১১ রান যোগ করে রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান। সোহানের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। ৭ম উইকেট জুটিতে রিয়াদ-মাহেদি যোগ করেন ৩০ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৫২ রানে নাথান এলিসের প্রথম শিকার হয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই নাথান এলিসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজুর রহমানের পর ক্রিজে আসেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে মাহেদি হাসানকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হ্যাট্রিক তুলেন নেন নাথান এলিস।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫২(৫৩) রান, সাকিব আল হাসান ২৬(১৭) রান ও আফিফ হোসেন ১৯(১৩) রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বল হাতে নাথান এলিস ৩ উইকেট, জস হ্যাজলউড ও এডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট নেন।

১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন বেন ম্যাকডার্মোট ও ম্যাথু ওয়েড। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৮ রান। ব্যক্তিগত ১ রানে নাসুম আহমেদের বলে ম্যাথু ওয়েড সাজঘরে ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

ওয়েডের পর ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেন-মার্শ গড়েন ৬৩ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে সাকিব আল হাসানের বলে ম্যাকডার্মোট সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ম্যাকডার্মোটের পর ক্রিজে আসেন হেনরিকস। ক্রিজে এসে নামের পাশে ২ রান যোগ করেই শরিফুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন হেনরিকস। হেনরিকসের পর ক্রিজে আসেন এলেক্স ক্যারি। ক্যারি ক্রিজে আসার পর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৫১ রানে শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মিচেল মার্শ।

মার্শের পর ক্রিজে আসেন ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। ওভারের প্রথম বলে ক্যারি ছক্কা হাকালেও দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচ যেতান মাহেদি হাসান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে মিচেল মার্শ ৫১(৪৭) রান, বেন ম্যাকডার্মোট ৩৫(৪১) রান ও এলেক্স ক্যারি ২০(১৫)* রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট, নাসুম আহমেদ ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ১০ রানে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, সৌম্য, সাকিব,মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আফিফ, শামীম, সোহান, মাহেদি, মুস্তাফিজ, শরিফুল ও নাসুম।

অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ- ম্যাকডার্মোট, ওয়েড(ক্যাপ্টেন), মার্শ, হেনরিকস, ক্যারি, ক্রিশ্চিয়ান, টার্নার, এগার, এলিস, জাম্পা ও হ্যাজলউড।

, , , , , ,

মতামত জানান :