ওয়ার্নের ৬০০ উইকেটের দিনে সাকিবের ব্যাটিং তাণ্ডব! রচিত হয়েছিলো প্রথম কিছু গল্পের। সবমিলিয়ে আজকের দিনের ঘটনা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে…
🔘আজকের দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট:
২০০৯ সাল – বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে (ওয়ানডে)
ফলাফল: বাংলাদেশ ৪৯ রানে জয়ী।
🔘সাকিবের দ্রুততম সেঞ্চুরি!
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়, মিস্টার অলরাউন্ডার। ক্রিকেটের ২২ গজে অসংখ্য রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে আছেন তিনি। কিছু রেকর্ড গড়ে নিজের নামটি রেখেছেন সবার উপরে। ঠিক তেমনি ২০০৯ সালের আজকের দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে সাকিবের ১০৪ রানের সাথে তামিমের ৭৯ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ ৩২০ রানের পুঁজি পায়। ৩২১ রানের জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতেন সাকিব আল হাসান।
🔘ওয়ার্নের ঝুলিতে ৬০০ উইকেট:
শেন ওয়ার্ন, একজন গ্রেট লেগ স্পিনার। ক্রিকেট মাঠে স্পিন ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। লেগ স্ট্যাম্পের বাহিরের বলটিও কখনো কখনো মিডল স্ট্যাম্প উপড়ে নিয়েছে। সেই ওয়ার্ন টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন ২০০৫ সালের আজকের দিনে। সেদিন মারকাস ট্রেসকোথিকে গিলক্রিস্টের তালুবন্দি করে এই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন তিনি।
🔘বয়কট’ই প্রথম:
ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক ঘটনা আছে। আছে প্রথম কিছু সাফল্যের গল্প। যেই গল্পের নায়কদের জায়গা করে দিয়েছে দারুণ এক জায়গায়। সেটি হলো ইতিহাসের প্রথম পাতায়। প্রথম সবকিছুই স্পেশাল, আর সেটা যদি হয় প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড তাহলে তো সেটি মনে রাখারই কথা ক্রিকেটপ্রেমীদের। অবশ্য ক্রিকেটপ্রেমীরা ভুলে গেলেও ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় সেই সাফল্যের দিনগুলো। ঠিক তেমনি ১৯৭৭ সালের আজকের দিনে ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার জেফ্রি বয়কট তার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শততম সেঞ্চুরি। শুধু সেঞ্চুরি করেই থামেননি তিনি, খেলেছিলেন ১৯১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
🔘টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি:
আজকের দিনটা যেনো প্রথম কিছুতেই ভরপুর! ওয়ার্নের প্রথম ৬০০ শিকার, বয়কটের হাত ধরে শতশত ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির তালিকায় নতুন করে যুক্ত আরেকটি প্রথম ঘটনা। সময়টা ১৮৮৪ সাল। টেস্ট ক্রিকেটের অনেকটা পথচলা হলেও তখনো কেউ ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেনি। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন অধিনায়ক বিলি মুরডোক। খেলেছিলেন ৫২৫ বলে ২১১ রানের ধৈর্য্যশীল এক ইনিংস। যা তাকে নিয়েছে অনন্য এক উচ্চতায়।
🔘ওয়ারেন বোর্ডসলের রেকর্ডময় দিন:
আজকের দিনে আরো একটি প্রথম ঘটনা। এবার সেই তালিকায় যেই নামটি রয়েছে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ওয়ারেন বোর্ডসলে। যিনি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৩৬ এবং ১৩০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
🎂আজকের দিনে যাদের জন্ম:
১৮৫৫ সাল- জন হজেস- অস্ট্রেলিয়া।
১৮৫৫ সাল- ডিক পিলিং- ইংল্যান্ড।
১৮৭০ সাল- টম রিচার্ডসন- ইংল্যান্ড।
১৮৯২ সাল- আর্চি ওয়াইলস- ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯০৭ সাল- টেড অ’বেকেট- অস্ট্রেলিয়া।
১৯১০ সাল- ডেনিস মোলোনি- নিউজিল্যান্ড।
১৯৫৪ সাল- যশপাল শর্মা- ভারত।
১৯৬২ সাল- শাওল হামিদ- শ্রীলঙ্কা।
১৯৭২ সাল- মেল জোন্স- অস্ট্রেলিয়া।
১৯৭৪ সাল- অঞ্জু জেইন- ভারত।
১৯৮৯ সাল- বীরস্বামী পারমল- ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯৯৫ সাল- জ্যাকব মুল্ডার- অস্ট্রেলিয়া।
১৯৯৮ সাল- করিম জানাত- আফগানিস্তান।
🔘আজকের দিনে যাদের মৃত্যু:
১৯৬৫ সাল- বিল উডফুল- অস্ট্রেলিয়া।
১৯৭৩ সাল- জনি ক্লে- ইংল্যান্ড।
১৯৭৪ সাল- জ্যাক হিল- অস্ট্রেলিয়া।
২০০৭ সাল- নরম্যান মার্শাল- ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০১৬ সাল- হানিফ মোহাম্মদ- পাকিস্তান।
আজকের দিনে পাঁচ উইকেট:
১৮৯০ সাল- ফ্রেডরিক মার্টিন- ৫০/৬ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
১৮৯৬ সাল- হিউ ট্রাম্বল- ৫৯/৬ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৮৯৬ সাল- জে. টি. হার্ন- ৪১/৬ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
১৯০২ সাল- জর্জ হার্স্ট- ৭৭/৫ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
১৯৭২ সাল- ডেনিস লিলি- ৫৮/৫ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৯০ সাল- অ্যাঙ্গাস ফ্রেজার- ১২৪/৫ প্রতিপক্ষ ভারত।
১৯৯৫ সাল- কেনি বেঞ্জামিন- ১০৫/৫ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
২০১৩ সাল- স্টুয়ার্ট ব্রড- ৭১/৫ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
২০১৪ সাল- জন নিম্বু- ১৫৭/৫ প্রতিপক্ষ দ. আফ্রিকা।
২০১৬ সাল- সোহেল খান- ৬৮/৫ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
💯আজকের দিনে সেঞ্চুরি:
১৮৮৪ সাল- বিলি মারডক- ২১১ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৮৮৪ সাল-পার্সি ম্যাকডোনেল-১০৩ রান,প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৮৮৪ সাল- টাপ স্কট- ১০২ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯০৯ সাল- ওয়ারেন বার্ডসলি- ১৩৬ রান,প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৭২ সাল- ইয়ান চ্যাপেল- ১১৮ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৭২ সাল- গ্রেগ চ্যাপেল- ১১৩ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৭৭ সাল- জেফ্রি বয়কট- ১৯১ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৮৩ সাল- গাওয়ার-১০৮ রান, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
১৯৮৫ সাল- ডেসমন্ড হেইন্স- ১২৫ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৮৭ সাল- মাইক গ্যাটিং- ১৫০ রান, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
১৯৯০ সাল- আজহারউদ্দীন- ১৭৯ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৯১ সাল- রিচি রিচার্ডসন- ১২১ রান, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
১৯৯৪ সাল- অ. ডি সিলভা- ১২৭ রান, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
১৯৯৪ সাল- সাঈদ আনোয়ার- ১৩৬ রান, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
১৯৯৫ সাল- গ্রেইম হিক- ১১৮ রান, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯৯৬ সাল- নিক নাইট- ১১৩ রান, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
১৯৯৭ সাল- সৌরভ গাঙ্গুলি- ১৪৭ রান, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
২০০৪ সাল- সাঙ্গাকারা- ২৩২ রান, প্রতিপক্ষ দ. আফ্রিকা।
২০০৫ সাল- মাইকেল ভন- ১৬৬ রান, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
২০০৯ সাল- সাকিব – ১০৪ রান, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে।
২০১১ সাল- অ্যালিস্টার কুক- ২৯৪ রান, প্রতিপক্ষ ভারত।
২০১৩ সাল- ইয়ান বেল- ১১৩ রান, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
২০১৬ সাল- মঈন আলী- ১১৬ রান, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
২০১৮ সাল- ক্রিস ওকস- ১৩৭ রান, প্রতিপক্ষ ভারত।
২০১৯ সাল- কোহলি- ১২০ রান, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
🔘মজার ঘটনা:
ক্রিকেট মাঠে কতশত ঘটনার জন্ম হয়। সব ঘটনা তো প্রকাশ পায়না। ঠিক তেমনি ক্রিকেটপ্রেমীরাও যে সবটা জানে কিংবা সবাই সবটা জানে এমনটাও নয়। কিন্তু ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় সব ঘটনা। তেমনি ১৯৭২ সালে দুই চ্যাপেল জন্ম দিয়েছিলো এক রেকর্ডের। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইয়ান চ্যাপেল এবং গ্রেগ চ্যাপেল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলো। একই দিনে একই দলের বিপক্ষে দুই চ্যাপেলের এমন কীর্তি সত্যিই অসাধারণ।