১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইংল্যান্ডের সূর্য আলো দেয় ভারতকে!

প্রতিবেদক
ডেস্ক নিউজ
মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট , ২০২১ ১০:৫১

লিখেছেন: সাইফুল ইসলাম লিখন।

চতুর্থ দিন শেষে ভারতের রান ৬ উইকেটে ১৮১। ব্যাড লাইটের জন্য চতুর্থ দিনের খেলার পরিসমাপ্তি ঘটলে স্বীকৃতি ব্যাটার হিসেবে ছিলো শুধুমাত্র রিশাব পান্ট। সবমিলিয়ে চতুর্থ দিন শেষে খেলাটা নিজেদের করে রেখেছিলো ইংল্যান্ড।

জয়ের নায়ক সিরাজ; ছবি: ফেসবুক।

পঞ্চম দিনের শুরুতে দ্রুত অল আউট করে দিতে পারলেই ম্যাচটা নিজেদের করে নেওয়ার সম্ভবনা হবে প্রবল। এমনটা পরিকল্পনা করেই হয়তো মাঠে নেমেছিলো ইংলিশরা৷ কিন্তু বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামির ৮৯ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপে প্রায় অল আউট হওয়া ইনিংস ২৯৮/৮ গিয়ে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে ভারত। মূলত বুমরাহ ও শামির পার্টনারশিপে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।

শামি-বুমরাহ রেকর্ড জুটি!

ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট ৬০ ওভারে ২৭২ রান। ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরুতেই আঘাত হানে ভারতীয় পেসার। স্কোর বোর্ডে ১ রান জমা করতেই উইকেট হারায় ২ টি। এরপর কিছুটা চাপ সামাল দিলেও ৪৪ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ৬৭/৩ থেকে মুহূর্তে ই ৬৭/৫ এ পরিণত হয় স্কোর লাইন। এরপর মঈন আলী ও বাটলার ম্যাচটা খুব ভালো ভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো ড্রয়ের দিকেই এগিয়ে যাবে। এরমাঝে ইংল্যান্ডের ৭৫ রানের সময় বুমরাহ’র বলে বাটলারের সহজ ক্যাচ মিস করেন বিরাট কোহলি।

তখনও ২২ ওভার খেলা বাকি। স্কোর লাইন ৫ উইকেটে ৯০!

মোহাম্মদ সিরাজ তাঁর ৮ম ওভার করতে এসেই ১ম বলেই মঈন আলীকে কোহলির হাতে বন্দি করে প্যাভিলয়নে ফেরত পাঠান। এরপর স্যাম কারান কে পরের বলেই কট বিহাইন্ড করে ম্যাচটা হাতে তুলে নেন। ৯০/৫ থেকে ৯০/৭ হয়ে যায় স্কোর লাইন।

এরপর বাটলার ওলি রবিনসন কে নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামেন। প্রতিটা বল তখন মনে হচ্ছিল এক একটা বারুদ। বাউন্স, ইয়ার্কার সহ সব সামাল দিচ্ছিলো এ দুজন। ইনিংসের ৫১ তম ওভারে বুমরাহ’র করা বলে রবিনসনের থাই প্যাডে আঘাত হানে। অনেক বড় আবেদন হয়। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নিতে দেরি করেনি কোহলি। এবারও সফল হয় টিম ইন্ডিয়া। ১২০ রানের মাথায় ৮ম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ৩৫ বলে ৯ রান করে সাঁজঘরে ফেরেন রবিনসন।

ঠিক পরের ওভারে সিরাজ জশ বাটলার কে কট বিহাইন্ড করে ইংল্যান্ডের শেষ ভরসার প্রদীপটাও নিভিয়ে দেন। তখনও ৮ ওভার ৪ বল বাকি। ইংল্যান্ড কে ড্র করতে হলে ৮ ওভার ৪ বল খেলতে হবে। আর ভারতকে জিততে হলে নিতে হবে ১ টি উইকেট।

শেষ জুটি মার্ক উড এবং জিমি এন্ডারসন। সিরাজের করা ২ টি বল ভালোভাবে মোকাবিলা করলেও ৩ নম্বর বলটা ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে সোঁজা অফ স্টাম্পে আঘাত হানে।

১৫১ রানে জয় লাভ করে ভারত।

৫ম দিনরা পুরোপুরি ভারতের ছিলো। অথচ দিনটা হওয়ার কথা ছিলো ইংল্যান্ডের। এটাই টেস্ট৷ যেকোন সময় বদলে যেতে পারে ম্যাচের মোড়।

জয় পরাজয় ছাপিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নেয় এসব ম্যাচ। এজন্যই ক্রিকেট সব ফরমেটের রাজা।

, , ,

মতামত জানান :