মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন টম ব্লান্ডেল ও রাচিন রবিন্দ্র। ওপেনিং জুটিতে আসে ১ রান। ব্যক্তিগত শূন্য রানে মাহেদি হাসানের বলে রাচিন রবিন্দ্র সাজঘরে ফিরলে নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
রবিন্দ্রের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৫ রান যোগ করেই সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন উইল ইয়াং। ইয়াংয়ের পর ক্রিজে আসেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ১ রানে নাসুম আহমেদের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। গ্রান্ডহোমের পর ক্রিজে আসেন টম লাথাম। লাথাম ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ২ রানে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন টম ব্লান্ডেল।
ব্লান্ডেলের পর ক্রিজে আসেন হেনরি নিকোলস। পঞ্চম উইকেট জুটিতে লাথাম-নিকোলস গড়েন ৩৩ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৮ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের প্রথম শিকার হয়ে টম লাথাম সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। লাথামের পর ক্রিজে আসেন কোল ম্যাকেঞ্জি। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন কোল ম্যাকেঞ্জি। ম্যাকেঞ্জির পর ক্রিজে আসেন ডোগ ব্রাসওয়েল। ব্রাসওয়েল ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১৮ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন হেনরি নিকোলস।
নিকোলসের পর ক্রিজে আসেন এজাজ প্যাটেল। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৩ রান যোগ করে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন এজাজ প্যাটেল। প্যাটেলের পর ক্রিজে আসেন ব্লাইর টিকনার। টিকনার ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ডোগ ব্রাসওয়েল। ব্রাসওয়েলের পর ক্রিজে আসেন জেকব ডাফি। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৩ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান জেকব ডাফি।
শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৬০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে হেনরি নিকোলস ১৮(২৪) রান, টম লাথাম ১৮(২৫) রান ও ডোগ ব্রাসওয়েল ৫(৭) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সাকিব আল হাসান ২টি করে উইকেট ও মাহেদি হাসান ১টি উইকেট নেন।
৬১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১ রান। ব্যক্তিগত ১ রানে কোল ম্যাকেঞ্জির বলে মোহাম্মদ নাইম শেখ সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
নাইমের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১ রানে এজাজ প্যাটেলের বলে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। লিটনের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিক গড়েন ৩০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৫ রানে রাচিন রবিন্দ্রের বলে সাকিব আল হাসান প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রিয়াদ-মুশফিক ২৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ পর্যন্ত ১৫.০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসান ২৫(৩৩) রান, মুশফিকুর রহিম ১৬(২৬)* রান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৪(২২)* রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে এজাজ প্যাটেল, কোল ম্যাকেঞ্জি ও রাচিন রবিন্দ্র ১টি করে উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৭ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সাকিব আল হাসান।
নিউজিল্যান্ড একাদশঃ- ব্লান্ডেল, রাবিন্দ্র, ইয়াং, গ্রান্ডহোম, লাথাম(ক্যাপ্টেন), নিকোলস, ম্যাকেঞ্জি, ব্রাসওয়েল, প্যাটেল, টিকনার ও ডাফি।
বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), সোহান, আফিফ, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, নাসুম ও মুস্তাফিজ।
