১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো বাংলাদেশ

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর , ২০২১ ৮:০৩

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন নাইম শেখ ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৫৯ রান। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে রাচিন রবিন্দ্রের প্রথম শিকার হয়ে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

লিটনের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই রাচিন রবিন্দ্রের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে নামের পাশে ১২ রান যোগ করে কোল ম্যাকেঞ্জির বলে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রিয়াদ-নাইম গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে রাচিন রবিন্দ্রের তৃতীয় শিকার হয়ে নাইম শেখ সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে।

নাইমের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৩ রানে এজাজ প্যাটেলের বলে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে রিয়াদ-সোহান গড়েন ৩২ রানের পার্টনারশিপ। ইনিংসের শেষ বলে হামিশ বেনেটের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে নাইম শেখ ৩৯(৩৯) রান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৭(৩২)* রান ও লিটন দাস ৩৩(২৯) রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে রাচিন রবিন্দ্র ৩ উইকেট, এজাজ প্যাটেল, কোল ম্যাকেঞ্জি ও হামিশ বেনেট ১টি করে উইকেট নেন।

১৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন টম ব্লান্ডেল ও রাচিন রবিন্দ্র। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১৬ রান। ব্যক্তিগত ১০ রানে সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে রাচিন রবিন্দ্র সাজঘরে ফিরলে নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

রবিন্দ্রের পর ক্রিজে আসেন টম লাথাম। লাথাম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৬ রানে মাহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন টম ব্লান্ডেল। ব্লান্ডেলের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইয়াং-লাথাম গড়েন ৪৩ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২২ রানে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে উইল ইয়াং সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ইয়াংয়ের পর ক্রিজে আসেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৮ রানে নাসুম আহমেদের বলে সাজঘরে ফিরেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম।

গ্রান্ডহোমের পর ক্রিজে আসেন হেনরি নিকোলস। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৬ রানে মাহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন হেনরি নিকোলস। নিকোলসের পর ক্রিজে আসেন কোল ম্যাকেঞ্জি। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে লাথাম-ম্যাকেঞ্জি গড়েন ৪৫ রানে অপরাজিত পার্টনারশিপ। নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন টম লাথাম তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাকালেনও দলকে যেতাতে পারেন নি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে টম লাথাম ৬৫(৪৯)* রান, উইল ইয়াং ২২(২৮) রান ও কোল ম্যাকেঞ্জি ১৫(১২)* রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে মাহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসান ২টি করে উইকেট ও নাসুম আহমেদ ১টি উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৪ রানে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, লিটন, মুশফিক, সাকিব(ক্যাপ্টেন), মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আফিফ, সোহান, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ ও নাসুম।

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ- ব্লান্ডেল, রবিন্দ্র, লাথাম(ক্যাপ্টেন), ইয়াং, গ্রান্ডহোম, নিকোলস, ম্যাকেঞ্জি, ব্রাসওয়েল, প্যাটেল, বেনেট ও সিয়ার্স।

, , , , , , , , , ,

মতামত জানান :