২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালো নিউজিল্যান্ড

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর , ২০২১ ৮:০৮

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন ফিন এলেন ও রাচিন রবিন্দ্র। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৫৮ রান। ব্যক্তিগত ৪১ রানে শরিফুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে রাচিন রবিন্দ্র সাজঘরে ফিরলে তাদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

রবিন্দ্রের পর ক্রিজে আসেন টম লাথাম। লাথাম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪১ রানে শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ফিন এলেন। এলেনের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৬ রান যোগ করে আফিফ হোসেনর বলে সাজঘরে ফিরেন উইল ইয়াং। ইয়াংয়ের পর ক্রিজে আসেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৯ রানে নাসুম আহমেদের বলে সাজঘরে ফেরত যান কলিন ডি গ্রান্ডহোম।

গ্রান্ডহোমের পর ক্রিজে আসেন হেনরি নিকোলস। পঞ্চম উইকেট জুটিতে নিকোলস-লাথাম যোগ করেন ৩৫ রান। ব্যক্তিগত ২০ রানে তাসকিন আহমেদের বলে হেনরি নিকোলস সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। নিকোলসের পর ক্রিজে আসেন কোল ম্যাকেঞ্জি। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে লাথাম-ম্যাকোঞ্জি গড়েন ৪৩ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ। টম লাথাম তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি হাকান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টম লাথাম ৫০(৩৭)* রান, ফিন এলেন ৪১(২৪) রান ও কোল ম্যাকেঞ্জি ১৭(১০)* রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট, আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন।

১৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ২৬ রান। ব্যক্তিগত ১০ রানে এজাজ প্যাটেলের প্রথম শিকার হয়ে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

লিটনের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৪ রান যোগ করেই কোল ম্যাকেঞ্জির বলে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য সরকার। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২৩ রানে বেন সিয়ার্সের বলে সাজঘরে ফিরেন নাইম শেখ। নাইমের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন। আফিফ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৩ রানে রাচিন রবিন্দ্রের বলে সাজঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম।

মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আফিফ-রিয়াদ গড়েন ৬৩ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৩ রানে কোগ্লেইনের প্রথম শিকার হয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৪ রানে এজাজ প্যাটেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান।

সোহানের পর ক্রিজে আসেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ২ রানে জেকব ডাফির বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শামীমের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৯ রানে স্কোট কোগ্লেইনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের পর ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ। নাসুম-আফিফ মিলে ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে আফিফ হোসেন ধ্রুব ৪৯(৩৩)* রান, নাইম শেখ ২৩(২১) রান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৩(২১) রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে এজাজ প্যাটেল ও স্কোট কোগ্লেইন ২টি করে উইকেট, রাচিন রবিন্দ্র, বেন সিয়ার্স, জেকব ডাফি ও কোল ম্যাকেঞ্জি ১টি করে উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- নিউজিল্যান্ড ২৭ রানে বিজয়ী।

প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচঃ- টম লাথাম।

প্লেয়ার অফ দ্যা সিরিজঃ- টম লাথাম ও নাসুম আহমেদ।

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ- এলেন, রবিন্দ্র, লাথাম(ক্যাপ্টেন), ইয়াং, গ্রান্ডহোম, নিকোলস, ম্যাকোঞ্জি, কোগ্লেইন, প্যাটেল, সিয়ার্স ও ডাফি।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, লিটন, সৌম্য, মুশফিক, আফিফ, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), সোহান, শামীম, তাসকিন, নাসুম ও শরিফুল।

, , , , ,

মতামত জানান :