সিলেটে আফগান যুবাদের আগমন; পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে টস ভাগ্যে সফরকারীদের জয়। শুরুটাও ছিলো বেশ রাঙ্গানো; তবে টাইগার বোলাদের বোলিং তাণ্ডবে বেশিদূর যেতে পারেনি আফগানরা, ১০১ রানে অলআউট হওয়া আফগানরা হার মেনে নেয় তিন উইকেটের ব্যবধানে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া আফগান অধিনায়ককে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৪১ রানে মাত্র ২ উইকেট হারানো আফগান ব্যাটারদের চেপে ধরে স্পিনাররা। অধিনায়ক মেহরাবের সাথে গোলাম চেপে ধরেন রানের চাকা। সেখানে পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে আসা নয়ন চালান স্পিন ঘূর্ণি। টাইগার বোলারের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১০১ রানেই অলআউট হয় সফরকারীরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে ওপেনার সাবাউনের ব্যাটে। বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন নয়ন।
১০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা দুই যুবা ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। নাবিলের ব্যাটে দ্রুত রান আসলেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন রবিন! দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফিরে গেলেও রবিন জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। আরিফুলকে সাথে নিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে গেলেও দলীয় ৫৭ রানে ব্যক্তিগত ৩১ রানে রবিন ফিরলে জুটি বাঁধেন আরিফুল ও আইচ মোল্লা!
ব্যক্তিগত ১০ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আরিফুল আউট হলে জমে উঠে ম্যাচ। আফগান বোলাররা চেপে ধরেন টাইগার ব্যাটারদের। বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান আইচ মোল্লা। ম্যাচে আইচ মোল্লার অপরাজিত ১৬ রানে ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। সেই সাথে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগার যুবারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দল: ১০১/১০ (৪২.৩ ওভার)
সাবাউন ২৫, কামরান ১৮*;
নয়ন ৪/১৪, কিবরিয়া ২/১০
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল: ১০২/৭(২৩.১ ওভার)
রবিন ৩১, নাবিল ২৫, আইচ ১৬*
নাভিদ ২৯/৪, হাসানি ৩০/৩
ফলাফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৯ দল ৩ উইকেটে জয়ী।