বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই শুরু হলো টাইগারদের। স্বাগতিকদের বিপক্ষে লিটন-নাঈমের ফিফটির পর সোহানের ছক্কা ঝড়ে ২০৭ রানের পুঁজি পাওয়া বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় পেয়েছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
টস ভাগ্যে ওমান এ দল জয়লাভ করলেও ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় টিম বাংলাদেশকে। রিয়াদের অনুপস্থিতিতে লিটনের কাঁধে উঠে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। কাপ্তান লিটন ব্যাটিংয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বেশ। নাঈমকে সাথে নিয়ে দিয়েছেন উড়ন্ত সূচনা। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে লিটন আউট হলে ভাঙে ১০২ রানের উড়ন্ত সূচনা।
লিটনের বিদায়ের পর যেনো ধ্বস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে। ১০২ রানে ১ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১২৪ রানে হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। সাজঘরে ফেরেন সৌম্য, মুশফিক ও আফিফ! সৌম্য ৮(৮) ও আফিফ ৬(২) রান করলেও মুশফিক ফিরিয়ে শূন্য রানে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে সোহানকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন নাঈম। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে নাঈম স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়লে ক্রিজে আসেন শামীম পাটোয়ারী। সোহান-শামীমের ব্যাটে ১৮০ রানের স্বপ্ন দেখলেও সোহান-শামীম পৌঁছে দিয়েছেন ২০৭ রানে। শামীম ১০ বলে ১৯ করলেও সোহান চালিয়েছেন ব্যাটিং তাণ্ডব। মাত্র ১৫ বলে ৭ ছক্কায় খেলেছেন ৪৯ রানের টনের্ডো ইনিংস। ২০ ওভার শেষে ২০৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
২০৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামা ওমান এ দল প্রথম ওভারেই হারিয়ে বসে উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। বাকিদের ব্যর্থতার ম্যাচে শোয়াইব খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। এছাড়াও শেষ দিকে রাফিউল্লাহ ও রউফ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কমিয়ে দেন হারের ব্যবধান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শরিফুল ৩, সাইফউদ্দিন ২ ও নাসুম, মাহাদী, আফিফ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ – ২০৭/৪ (২০ ওভার)
নাঈম ৬৩ (রিটায়ার্ড হার্ট), লিটন ৫৩, সোহান ৪৯*, শামীম ১৯*, সৌম্য ৮, আফিফ ৬;
কলিম ৩৯/২, সময় ২৪/২
ওমান এ দল – ১৪৭/৯(২০ ওভার)
শোয়াইব ৪৩, রাফিউল্লাহ ৩১*, রউফ ১৯
শরিফুল ৩০/৩, সাইফউদ্দিন ১৭/২
ফলাফল: বাংলাদেশ ৬০ রানে জয়ী।