১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্যালিস, মোৎজার্ট অফ ক্রিকেট

প্রতিবেদক
ডেস্ক নিউজ
শনিবার, ৩০ মে , ২০২০ ৫:৫০

১৪০+ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটার যার টেস্ট-ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই আছে ১০ হাজারের বেশি রান ও ২৫০টির বেশি উইকেট!

মানুষ মানেই এক আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে বসবাস। কোন স্বপ্ন পূরণ হয় কোনটা পূরণ হয় না। তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে। আবার কিছু মানুষের নিজের জন্য কোন স্বপ্ন থাকে না, তার বা তাদের স্বপ্ন বা জীবনের লক্ষ্য হয় বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটানো। আজ ঠিক তেমনি একজনের গল্প শুনবো। গল্পটি এক বাবার ইচ্ছে পূরণের। ছেলেটি ছিলেন জ্যাক ক্যালিস।

সময়টা ১৯৭৫ সাল! বর্তমান সময়ের মতো ছিলো না এতো ক্রিকেটীয় ক্লাব। ছিলোনা নিজেকে তৈরী করার রাস্তা! কিন্তু তাতে কি? যেই মানুষটির সাথে তার বাবা থাকে সে কি ক্রিকেট না শিখে পারে! বাবার স্বপ্ন আমার ছেলে বড় ক্রিকেটার হবে, অনেক বড় ক্রিকেটার হবে। একদিন ক্রিকেট বিশ্ব আমার ছেলেকে নিয়ে মেতে উঠবে ক্রিকেটীয় নেশায়।

বাবার স্বপ্ন, নিজের ইচ্ছা, সবমিলিয়ে কঠিন একটা সময়ে দাঁড়িয়ে। একমাত্র শক্তি বাবার অধিনে শুরু হলো ক্রিকেটীয় অনুশীলন। দিনরাত এক করে বাবা ছেলেকে তৈরী করতে থাকলেন। হয়তোবা তিনি কোন একদিন কল্পনাতে দেখেছিলেন তার ছেলে ক্রিকেটবিশ্ব রাজ করতে আসছে! হয়েছিলোও তাই, ক্যারিয়ার শেষে তার নামের পাশে পেয়েছেন সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারের তকমা।

▪সময়টা ১৯৯৩ সাল!
ক্যালিস তখন ১৮ বছরের যুবক। ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের হয়ে অভিষেক হয়ে গেলো প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে। আকাশের রক্তিম সূর্য লাল হতে লাগলো! তখন কেউ হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি এই যুবক একদিন হয়ে উঠবেন সেরা অলরাউন্ডার! কে বা জানতো ক্যারিয়ার শেষে তার নামের পাশে থাকবে ৬২ টি সেঞ্চুরির সাথে ৫৬৫ টি উইকেট। হয়তো সেদিনের সেই রক্তিম সূর্য কঠিন করে তুলেছিলো ক্যালিসকে! জাগিয়ে দিয়েছিলো এগিয়ে যাবার তাড়না।

▪১৯৯৫ সাল!
সাদা পোশাকে অভিষেক হয়ে গেলো টগবগে তরুণের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি কোনো বিভাগেই! এরপর ৫ টেস্ট ম্যাচ শেষে তার ব্যাটিং গড় ছিলো ৮.০০! প্রথম ৫ ম্যাচ পর যাকে নিয়ে শুরু হয়েছিলো আলোচনা, সেই ক্যালিস ক্যারিয়ার শেষে পন্টিং, লারা, শচিনদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন।

▪২৭৯ বলে ১০১!
সময়টা তখন ১৯৯৭ সাল। সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিলো না ক্যালিসের। ৬ টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং করে সর্ব্বোচ্চ রান ৬১! এবার নিজেকে প্রমাণের পালা। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, প্রথম ইনিংসে সুপার ফ্লপ! দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলতে হবে আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে আফ্রিকা। সেখানে ব্যাটিংয়ে নামলেন রান খড়ায় থাকা ক্যালিস। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকলেন তিনি। পঞ্চম দিনের উইকেটে ব্যাটিং করা এমনিতেই ছিলো কষ্ট সাধ্য ব্যাপার, তার উপর ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রার মতো বিশ্বমানের বোলার! কিন্তু সেদিন সবকিছুই যেনো ক্যালিসের সামনে খেয় হারিয়ে ফেললো। সেদিন ক্যালিস ব্যাটিংয়ে এতোটাই মনোযোগী ছিলেন যে! তালে স্লেজিংয়ের উপর স্লেজিং করেও মনঃসংযোগ নষ্ট করাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা। স্লেজিং করতে করতে একসময় অস্ট্রেলিয়ার এক ফিল্ডার বিরক্ত হয়ে বললেন” সে কি কানে শোনে না!”

▪Cover Drive!
ক্যালিস মানেই কাভার ড্রাইভ! ক্যালিসের ব্যাটিং ছিলো উপভোগ্য, তার সেই বিখ্যাত কাভার ড্রাইভের জন্য অপেক্ষায় থাকতো অনেক ক্রিকেটপ্রমীরা। শুধু কাভার ড্রাইভেই নয়, ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যালিসের সবচেয়ে বড়গুন ছিলো ধৈর্য্য, মনঃসংযোগ, টেম্পারমেন্ট, মানসিক দৃঢ়তা, নিষ্ঠা এবং দায়িত্ববোধ। বলা হয়ে থাকে, “No batsman prized his wicket more highly than Kallis.”এই সবকিছুর পরের তার সবচেয়ে বড় গুন ছিলো নিজের উইকেটের মূল্য। তাইতো ক্যারিয়ার শেষে সেরা অলরাউন্ডারের তকমা তার গায়ে। ব্যাটসম্যান ক্যালিসের ব্যাটিং স্টাইল সম্পর্কে “উইজডেন” বলেছিলো-
“He’s not Brian lara or ricky ponting in terms of aggression or flair but he is rock solid and, added fo that, he every shot in the book. Also his cover drive and flick off the hip are right up there in terms of execution and attractiveness.”

ক্যালিস যে শুধু কাভার ড্রাইভে সেরা ছিলেন এমনটা নয়। লফটেড ড্রাইভেও ছিলেন সেরা। তার লফটেড ড্রাইভের ‘শৈল্পিক’ ব্যাখ্যা দিয়ে ভাইস বলেছিলেন , “Certainly, his lofted drive, which begins with a menacing backlift before uncoiling into the irresistible momentum of a mighty downward swoop of the bat and finishing in a twirl of Baroque, might be described as Mozart in motion.”

▪১৯৯৮-২০০২ সাল, অলরাউন্ডার ক্যালিসের উত্থানঃ
১৯৯৮ সাল উইলস কাপের শিরোপা ঘরে তোলে আফ্রিকা। সেই শিরোপার অন্যতম ক্যারিগর সেই ক্যালিস। ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচে, হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। এই সময়ে নিজের জাত চিনিয়াছিলেন ক্যালিস। ম্যাচের পর ম্যাচ প্রমাণ করেছিলেন নিজেকে। দেখিয়েছিলেন অলরাউন্ডারীং পারফরম্যান্স! এই সময়ের পারফরম্যান্স তাকে নিয়ে গিয়েছিলো সেরাদের কাতারে। কথায় আছে “রক্তিম সূর্য গরম হলে তাকে আটকে রাখা কঠিন!” ঠিক তেমনটাই হয়েছিলো সেইসময়ে ক্যালিসের ক্ষেত্রে। সেরা বোলারদের বিপক্ষে দেখিয়েছিলেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্স, বোলিংয়ে কুপোকাত করেছিলেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের। কার স্লিপে নিয়েছিলেন অসাধারণ সব ক্যাচ!

▪২০০৩ সাল! ৫৪ রানে ৬ উইকেটঃ
ক্রিকেট বিশ্বে তখন পরিচিত মুখ ক্যালিস। নিজের সেরা দিনে যেকোনো দলকেই কাঁপিয়ে দিতেন তিনি। আগের সময়গুলো ক্যালিসের সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্স থাকলেও ২০০৩ সালে ক্যালিস গড়েন সেরা টেস্ট বোলিং ফিগার। ইংল্যান্ড সিরিজে ব্যাটিংয়ে ফ্লপ করা ক্যালিস নিয়েছিলেন ৫৪ রানে ৬ উইকেট! যা ক্যারিয়ার শেষে তার সেরা বোলিং ফিগার।

▪টেস্ট ক্রিকেটে ৪ নম্বর পজিশনে সেরা ব্যাটসম্যানঃ
টেস্টে ৪ নম্বর পজিশনে মিনিমাম ৭৫ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা ব্যাটিং গড় জ্যাক ক্যালিসের। তিনি ৪ নম্বরে ব্যাট করেছিলেন ১৭০ ইনিংসে, রান করেছিলেন ৯০৩৩, গড় ৬১.৮৭, সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩৫ টি।
টেস্টে ৪ নম্বর পজিশনে ক্যালিসের চেয়ে বেশি রান আছে ছিলো শচীন টেন্ডুলকারের। ২৭৫ ইনিংসে শচীনের সংগ্রহ ১৩৪৯২ রান, গড় ৫৪.৪০, সেঞ্চুরি ৪৪টা। গড় এবং ইনিংস হিসাব করলে শচীনের থেকে এগিয়ে থাকবেন ক্যালিস।

▪ব্যাটিং গড় ১১৮.৪!
অবাক হলেন? হ্যাঁ অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একই পঞ্জিকাবর্ষে এমন ব্যাটিং করেছিলেন ক্যালিস। ২০০৩/৪ মৌসুমে টানা পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি করে গড়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড। সেই সাথে টানা দুই সিরিজে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ১০৬৬ রান, যেখানে ব্যাটিং গড় ছিলো ১১৮.৪! হয়তো ক্লাসিকাল ক্যালিস বলেই সম্ভব হয়েছিলো!

▪টানা ৪ টেস্ট সেঞ্চুরিঃ
সময়টা ২০০৭ সাল। আকাশের রক্তিম সূর্য তখন ডুবু ডুবু ভাব। কিন্তু তখনও যে অনেক লম্বা পথ বাঁকি! হ্যাঁ সেই লম্বা পথের অনেকটা পথ এসে নিজেকে আবারো নতুন করে চেনালেন ক্যালিস। টানা ৪ টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ডন ব্র্যাডমান, ম্যাথু হেইডেনের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা ৪ টেস্টে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন ক্যালিস।
বিঃদ্রঃ ডন ৩ বার এবং ক্যাসিল ২ বাই টানা ৪ টেস্টে সেঞ্চসেঞ্চুরি করার রেকর্ড করেছিলেন।

▪বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারঃ
সেরা তো সবাই হয়, নিজ দেশর হয়ে বর্ষসেরা তো অনেকেই হয়, কিন্তু! আইসিসির হয়ে বর্ষসেরা হওয়া তো আর মুখের কথা নয়। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করে ২০০৫ সালে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হন ক্যালিস। ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্যের একটি ছিলো ক্যলিসেট ক্যারিয়ারে।

▪জার্সি নাম্বার ৬৫!
সবকিছুর পেছনে কিছু একটা কারণ থাকে। ঠিক তেমনি ক্যালিসের জার্সি নাম্বারের পেছনেও ছিলো রহস্য। সময়টা ২০০৩ সাল! যার জন্য ক্রিকেটে এসেছিলেন ক্যালিস, সেই বাবার ধরা পড়লো ক্যান্সার! ক্যালিসের ক্রিকেটে আসার পেছনে তার বাবার ছিলো সবচেয়ে বপশী অবদান। সেই মানুষটি মাত্র ৬৫ বছর বয়সে ত্যাগ করলেন দুনিয়ার মায়া। সেই থেকেই ক্যালিসের জার্সি নাম্বার হয়ে যায় ৬৫। হুট করে বাবার চলে যাওয়া ক্যালিসের জন্য ছিলো সবচেয়ে কঠিণ সময়। তবুও সবকিছু মানিয়ে নিয়েছিলেন ক্যালিস। এমন সময়ে ক্যালিস বলেন-” সময়টা ছিলো আমার জন্য খুব কঠিন। তবুও ইশ্বরকে ধন্যবাদ, শেষ সময়ে বাবার পাশে থাকতে পেরেছি। বাবার মৃত্যুর পর জীবন এবং ক্রিকেট নিয়ে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। ক্রিকেট শুধুই একটা খেলা। এ ভেরি সিম্পল গেম ইফ ইউ কিপ ইউর মাউন্ড স্ট্রেইট”।

▪সেরা স্লিপ ফিল্ডার!
ক্রিকেট শুধু ব্যাট আর বলের খেলা নয়, এই খেলায় বড় অংশ ফিল্ডিং। সেরা ব্যাটিং বোলিং হিসেবে ক্যালিস ছিলেন সেরাদের কাতারে। ফিল্ডার হিসেবে কোথায় ছিলেন! উত্তর জানতে গিয়ে দেখা যায় ফিল্ডার হিসেবেও ক্যালিস ছিলেন সেরাদের কাতারে। ক্যারিয়ার শেষে তার নামের পাশে লেগেছিলো সেরা স্লিপ ফিল্ডারের তকমা। টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ ক্যাচের সাথে ওয়নাডে ক্রিকেটে ১৩১ সবমিলিয়ে ৩৩১ ক্যাচের মালিক ছিলেন ক্যালিস। স্লিপ ফিল্ডার ক্যালিসকে নিয়ে উইজডেন বলেন, “In the slips, he was safe as a bank; his rattlesnake reflexes make ridiculous catches look regulation.”

▪১১৫৭৯ এবং ২৭৩ উইকেটঃ
সেরা তো সবাই হয়, বিশ্বসেরা কয়জন হয়? নিজেদের দিনে সবাই সেরা, ক্যারিয়ার শেষে সেরা হয় ক’জনা? আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়! ওয়ানডে ক্রিকেটে সেরা অলরাউন্ডার কে? আপনার উত্তর কি হবে জানি না, তবে আমার উত্তর হবে জ্যাক ক্যালিস। কেন নয়? ক্যারিয়ার শেষে যেই মানুষটির নামের পাশে ১১৫৭৯ রান! এবং ২৭৩ উইকেট। সাথে ৮৬ টি অর্ধশতক এবং ১৭ টি শতক! একজন সেরা অলরাউন্ডার হতে এর থেকে আর কি বেশী লাগে? হয়তো লাগে অনেক কিছুই কিন্তু পাওয়া তো আর জায়না। সেরা তো অনেকেই হয় ক্যালিসের মতো সেরা তো সবাই হতে পারে না।

▪বোলার ক্যালিসঃ
ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ক্যালিস ছিলেন একজন ক্লাসিক ‘হিট দ্য ডেক’ বোলার। যেকোনো সময় কাঁপিয়ে দিতেন সেরা সেরা ব্যাটসম্যানদের। তাইতো ক্যারিয়ার শেষে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ৫৬৫ উইকেট! এছাড়াও “ফোর্থ” সিমারের ভূমিকায় সবচেয়ে বেশী উইকেটের মালিক ক্যালসি।

ক্যালিসের ন্যাচারাল ডেলিভারি ছিল আউটসুইঙ্গার। এছাড়াও আচমকা বাউন্সার দিয়ে ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে ফেলতেন মাঝেমধ্যেই। বলে খুব বেশি গতি না থাকলেও সহায়ক পিচ-কন্ডিশন পেলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারতেন যে কোন সময়। উইজডেনের ভাষ্যমতে, “Yet, bowling is by no means a minor arrow in his quiver, but a weapon always potent and sometimes destructive.”

▪ক্রিকেটীয় জিবনে কিছু পুরষ্কার এবং সম্মাননাঃ
👉২০০৮ সালে উইসডেন অব দ্যা ইয়ার।
👉২০১১ সালে আফ্রিকান বর্ষসেরা ক্রিকেটার।
👉২০১২ সালে ফেভারিট স্পোর্টস স্টার অব দ্যা ইয়ার।
👉২০১৩ সালে রেম ডেলিভারি অব দ্যা ইয়ার।
👉২০১৩ সালে উইসডেন ফাইভ ক্রিকেটারস অব দ্যা ইয়ারে ভূষিত হন।

▪ক্যলিসকে নিয়ে বিখ্যাতদের উক্তিঃ
👉মাহেলা জয়াবর্ধনে বলেছেন, “এ যুগের সেরা অলরাউন্ডার”।
👉কেভিন পিটারসেনের মতে, “সম্ভবত সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।”
👉বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মাইকেল ভন আরও বলেন, “Many of the great all-rounders – Sobers, Botham or, more recently, Flintoff – generally bat at five, six or seven. But Kallis has batted at three and four throughout his career in all forms of the game.”
👉ক্যালিসের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে ফ্রেজার বলেন, “Jacques was very disciplined and committed. He had total devotion to being the athlete he needed to be.”

এইসবকিছুই বলে দেয় ক্যালিস সেইসময় কতোটা সেরা ছিলেন! অলরাউন্ডার হিসেবে জ্যাক ক্যালিসকে একটা সময় তুলনা করা হতো ইমরান, বোথাম, কপিলদের সঙ্গে। সমসাময়িক এন্ড্রু ফ্লিনটফের সাথেও একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা চলত সবসময়। অথচ ক্যারিয়ার শেষে ‘সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার’ বিতর্কে ক্যালিসের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধুমাত্র স্যার গ্যারি সোবার্স!

দিনশেষে ক্যলিসকে নিয়ে বলার ছিলো অনেক কিছুই, কিন্তু সবটা বলা হয়ে উঠেনি। হয়তো আবার কোন একদিন হাজির হবো ক্যালিসদের মতো বিশ্বসেরাদের সেরা হবার গল্প নিয়ে।

মতামত জানান :