বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১১ রান। ব্যক্তিগত ৬ রানে বিলাল খানের প্রথম শিকার হয়ে লিটন দাস সাজঘরে ফিরে গেলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
লিটনের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই ফায়াজ বাটের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহেদি হাসান। মাহেদির পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-নাইম গড়েন ৮০ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৪২ রানে রান আউট হয়ে সাকিব আল হাসান প্যাভিলিয়ন ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৩ রানে জিসান মাকসুদের বলে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান।
সোহানের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ১ রানে কালিমউল্লাহর প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।আফিফের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ ক্রিজে আসার পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয় ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে কালিমউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। নাইমের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৬ রানে ফায়াজ বাটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফায়াজ বাটের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাইফউদ্দিনের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিন ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১৭ রানে বিলাল খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ বলে বিলাল খানের তৃতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরে ফিরেন মুস্তাফিজুর রহমান।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নাইম শেখ ৬৪(৫০) রান, সাকিব আল হাসান ৪২(২৯) রান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৭(১০) রান করেন। ওমানের পক্ষে বল হাতে বিলাল খান ও ফায়াজ বাট ৩টি করে উইকেট, কালেমউল্লাহ ২ উইকেট ও জিসান মাকসুদ ১টি উইকেট নেন।
১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ওমানের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন আকিব ইলিয়াস ও জাতিন্দার সিং। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১৩ রান। ব্যক্তিগত ৬ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে আকিব ইলিয়াস সাজঘরে ফিরলে ওমানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
ইলিয়াসের পর ক্রিজে আসেন কেসভ প্রজাপতি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রজাপতি-জাতিন্দার গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২১ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে কেসভ প্রজাপতি সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। প্রজাপতির পর ক্রিজে আসেন জিসান মাকসুদ। তৃতীয় উইকেটে জুটিতে জাতিন্দার-মাকসুদ গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১২ রানে মাহেদি হাসানের বলে জিসান মাকসুদ প্যাভিলিয়নে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের।
মাকসুদের পর ক্রিজে আসেন আয়ান খান। আয়ান ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪০ রানে সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন জাতিন্দার সিং। জাতিন্দারের পর ক্রিজে আসেন সান্দিপ গাউড। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৪ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সাজঘরে ফিরেন সান্দিপ গাউড। গাউডের পর ক্রিজে আসেন নাসিম খুশী। নাসিম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৯ রানে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আয়ান খান। আয়ানের পর ক্রিজে আসেন কালেমউল্লাহ। কালেম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪ রানে সাকিব আল হাসানের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন নাসিম খুশী।
নাসিমের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাদিম। নাদিম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন কালেমউল্লাহ। কালেমের পর ক্রিজে আসেন ফায়াজ বাট। ক্রিজে এসে মুস্তাফিজুর রহমানের চতুর্থ শিকার হয়ে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফিরেন ফায়াজ বাট। ফায়াজের পর ক্রিজে আসেন বিলাল খান। নাদিম-বিলাল মিলে ওমানের ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে ওমান। ওমানের পক্ষে ব্যাট হাতে জাতিন্দার সিং ৪০(৩৩) রান, কেসভ প্রজাপতি ২১(১৮) রান ও মোহাম্মদ নাদিম ১৪(১২)* রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান ৪ উইকেট, সাকিব আল হাসান ৩ উইকেট, মাহেদি হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ২৬ রানে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, লিটন, মাহেদি, সাকিব, সোহান, আফিফ, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), মুশফিক, সাইফউদ্দিন, তাসকিন ও মুস্তাফিজ।
ওমান একাদশঃ- আকিব, জাতিন্দার, প্রজাপতি, মাকসুদ(ক্যাপ্টেন), আয়ান, সান্দিপ, নাসিম, কালেমউল্লাহ, নাদিম, ফায়াজ ও বিলাল।