বড় জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত বাংলাদেশের

রিয়াদের রেকর্ড ফিফটি; ব্যাটে বলে সাকিবের তাণ্ডব। বিশ্বকাপে টাইগারদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের দিনে পাপুয়ানিউগিনি অলআউট মাত্র ৯৭ রানে। ৮৪ রানের বিশাল জয়ে আরব আমিরাতের টিকিট নিশ্চিত করলো টিম বাংলাদেশ।

ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার নাঈম শেখকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব – লিটনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে লিটন ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট হলে ভাঙে ৫০ রানের জুটি।

এরপর মুশফিক দ্রুত আউট হলে রিয়াদকে সাথে নিয়ে ব্যক্তিগত ফিফটির দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন সাকিব। রিয়াদ শুরু থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে থাকেন। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে অসাধারণ এক ক্যাচে সাকিব ফিরলেও চলতি আসরে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচে রিয়াদের ফিফটির পর সাইফউদ্দিন ও আফিফের ক্যামিওতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়েন রিয়াদ বাহিনী। রিয়াদের ৫০ ও সাকিবের ৪৬ রানে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮১ রান।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৮২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়ানিউগিনি। ভালা -আমিনিদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বল হাতে স্পিন ঘূর্ণির তাণ্ডব চালান সাকিব আল হাসান। ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারদের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে উঠে আসেন সাকিব আল হাসান।

দলের সেরা ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন সোপার ও ডোরিগা জুটি। যদিও টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাপুয়ানিউগিনি অলআউট হয় মাত্র ৯৭ রানেই। সেই সাথে বাংলাদেশ জয় পায় ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলো টিম বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ – ১৮১/৭ (২০ ওভার)
রিয়াদ ৫০, সাকিব ৪৬, লিটন ২৯, আফিফ ২১, সাইফউদ্দিন ১৯*;
ভালা ২৬/২, মরেয়া ২৬/২, রাভু ৪০/২

পাপুয়ানিউগিনি – ৯৭/১০(১৯ ওভার ৩ বল)
ডোরিগা ৪৬*, সোপার ১১
সাকিব ৯/৪, সাইফউদ্দিন ২১/২, তাসকিন ১২/২

ফলাফল: বাংলাদেশ ৮৪ রানে জয়ী।