১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আশালাঙ্কা-ভানুকা ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
রবিবার, ২৪ অক্টোবর , ২০২১ ৮:১৫

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের তৃতীয় ম্যাচে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান দলপতি দাসুন শানাকা।

প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে নাইম-লিটন গড়েন ৪০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৬ রানে লাহিরু কুমারার বলে লিটন দাস প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

লিটনের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ১০ রানে চামিকা কারুনারত্নের বলে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিক-নাইম গড়েন ৭৩ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৬২ রানে বিশোয়া ফার্নান্দোর বলে মোহাম্মদ নাইম শেখ প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। নাইমের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৬ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

আফিফের পরে ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন। মুশফিকুর রহিম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৬ষ্ট ফিফটি হাকিয়ে অপরাজিত থাকেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নাইম শেখ ৬২(৫২) রান, মুশফিকুর রহিম ৫৭(৩৭) রান ও লিটন দাস ১৬(১৬) রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে বল হাতে চামিকা কারুনারত্নে, বিশোয়া ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা ১টি করে উইকেট নেন।

১৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শ্রীলঙ্কার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন কুসাল পেরেরা ও পাথুম নিশাঙ্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই নাসুম আহমেদের প্রথম শিকার হয়ে কুসাল পেরেরা সাজঘরে ফিরলে শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

কুসাল পেরেরার পর ক্রিজে আসেন চারিতা আসালাঙ্কা৷ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসালাঙ্ক-নিশাঙ্কা গড়েন ৬৯ রানের পার্টনারশিপ ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে পাথুম নিশাঙ্কা সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। নিশাঙ্কার পর ক্রিজে আসেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। আভিষ্কার পরে ক্রিজে আসেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙা। ক্রিজে এসে ব্যক্তিগত ৬ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সাজঘরে ফিরেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙা।

হাসারাঙার পর ক্রিজে আসেন ভানুকা রাজাপাকসা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসালাঙ্কা-রাজাপাকসা গড়েন ৮৬ রানের ম্যাচ উইনিং পার্টনারশিপ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হোন ভানুকা রাজাপাকসা। রাজাপাকসার পর ক্রিজে আসেন দাসুন শানাকা। আসালঙ্কা-দাসুন মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১৭২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ব্যাট হাতে চারিতা আসালাঙ্কা ৮০(৪৯)* রান, ভানুকা রাজাপাকসা ৫৩(৩১)* রান ও পাথুম নিশাঙ্কা ২৪(২১) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ ২টি করে উইকেট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- চারিতা আসালাঙ্কা।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, আফিফ, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), সোহান, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, নাসুম ও মুস্তাফিজ।

শ্রীলঙ্কা একাদশঃ- পেরেরা, নিশাঙ্কা, আসালাঙ্কা, আভিষ্কা, হাসারাঙা, রাজাপাকসা, শানাকা(ক্যাপ্টেন), কারুনারত্নে, চামিরা, ফার্নান্দো ও কুমারা।

, ,

মতামত জানান :