১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্যাটল অফ দ্যা চ্যাম্পিয়নস- #ভারত_সমাচার

প্রতিবেদক
ডেস্ক নিউজ
শনিবার, ৩০ মে , ২০২০ ৬:০০

মনসুর আলী খান পতৌদিকে চেনেন? ওই যে যাকে টাইগার পতৌদি নামে ডাকা হতো! চিনলেন নাতো, ভারতের অলটাইম গ্রেট ক্যাপ্টেনদের মধ্যে অন্যতম এই একচোখা মানুষটাকে অবশ্য এই জেনারেশনের অনেকেই চেনেন না। মানুষটার কিন্তু আরেকটা পরিচয় আছে, নামের আগে নবাব শব্দটা তো আর যেনতেন ব্যাপার নয়। ভদ্রলোকের এক চোখ সড়ক দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু তাতে করে তার ক্রিকেট খেলায় কোন বাধা পড়েনি। বরং এক চোখ দিয়ে খেলে যাবার দারুন এক কৌশল বের করে নিয়েছিলেন। আবার সেই এক চোখ দিয়েই ঘায়েল করেছিলেন তৎকালীন হার্টথ্রব বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকে। শর্মিলাকে একবার নবাব জিজ্ঞেস করেছিলেন, আচ্ছা বলো তো আমার কোন চোখটা পাথরের? শর্মিলা কি উত্তর দিয়েছিলেন জানি না, তবে সেটা যে নবাবী রসায়নের জন্য আদর্শ ছিল তার প্রমান কিন্তু সাইফ আলী খান, সোহা আলী খান। ওহো, বলাই তো হয়নি, বলিউড তারকা সাইফ আলী খান কিন্তু ওই একচোখা নবাবেরই ছেলে!

ভাবছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উপলক্ষে ভারতকে নিয়ে লিখতে বসে মনসুর সাহেবকে নিয়ে টানাটানি কেন? লেখার শুরুতে একটু চটকদার মশলা না রাখলে ম্যারাথন লেখায় আপনার মনোযোগ ধরে রাখবো কি করে? দেড় ঘণ্টা ধরে লিখবো, আর আপনি পড়বেন না, সেটা হবে না বাপু। এটা একটা লেখক ট্রিক্স বলতে পারেন।

যাই হোক, নবাব যখন ভারতকে ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিতেন তখন ভারতীয় ক্রিকেটের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায় টাইপ। মাঠে যতই বাঘের মতো আচরন করুক না কেন, দিনশেষে ফলাফল কিন্তু ইয়ে কেয়্যা হো গায়া মামু ! ভারতের কোন আইসিসি ট্রফি জয়ের সম্ভবনা তখন নবাবের নবাবী মনেও উঁকি দিতো কিনা সন্দেহ। তবে সেই ভারতই বেমালুম বদলে গেলো, নবাবের জীবদ্দশাতেই নবাব ভারতকে সম্ভাব্য সবকিছু জিততে দেখলেন। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে শুরু, আর ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ঘরে আসতেই নবাব চিরবিদায় নিলেন। ওহ হ্যাঁ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটাও জিততে দেখেছেন নবাব। ভারত যেবার প্রথম আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয় করে, সেই টুর্নামেন্টের আগে নবাবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আপনি ভারতের কতটা সম্ভবনা দেখেন? নবাবের রসিকতা ছিল, ‘ক্যাপ্টেন ছেলেটার আমার মতোই চোখে সমস্যা আছে’। সৌরভ গাঙ্গুলি সেবার ট্রফি উচিয়ে ধরে নবাবকে তৃপ্ত করেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলির চোখে সমস্যার কথাও অনেকেরই অজানা। ভুমিকা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, নবাবকে নিয়ে এতোটা লিখলাম কারন মাঠে নবাবের নবাবী আচরন, বর্তমান ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির সাথে বেশ যায়। আর কোহলির মাঠের বাইরের রসায়ন তো একেবারে নবাবের কার্বন কপি। আপনারা যদি আনুস্কার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে ভাবুন! আমি মানা করবার কে !

#ভারতের_চ্যাম্পিয়ন্স_ট্রফি_কাব্য
ওহহো, কাব্য না লিখে উপন্যাস লেখাটাই বোধয় যথার্থ ছিল। কারন, এই টুর্নামেন্টে পাওয়ার আনন্দ থেকে শুরু করে না পাওয়ার আক্ষেপ যে মিলেমিশে একাকার! তবে সেই বৃত্তান্তে যাবার আগে জেনে নেই এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিবৃত্তটা। ১৯৯৮ সালে এই টুর্নামেন্টের নাম ছিল ‘উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ’। বাংলাদেশ অংশগ্রহন না করলেও টুর্নামেন্টটা কিন্তু ঢাকাতেই হয়েছিলো। ২০০০ সালে টুর্নামেন্টের নাম বদলে হয়ে গেলো ‘আইসিসি নকআউট’। ২০০২ সালে বর্তমান নাম ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই টুর্নামেন্ট এবং তারপর থেকে এই নামেই চলছে। এবারে দেখে নেওয়া যাক, এযাবৎকালের আসরগুলোতে ভারতের প্রেম-বিরহের কাহিনি।

#উইলস_ইন্টারন্যাশনাল_কাপ_১৯৯৮
আট দলের টুর্নামেন্ট ছিল সেটি। প্রথম ম্যাচেই পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার সামনে ভারত। লেজে গোবরে করে ফেলবে এমন সম্ভবনার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেলেন একজন ভারতীয় ব্যাটসম্যান! অস্ট্রেলিয়া হন্তারক হিসাবে পরিচিত লিটল মাস্টার শচিন! এই লোকটাকে নিয়ে লিখতে গেলে দিস্তাদিস্তা কাগজ ফুরিয়ে যাবে, তাই সেই চেষ্টা আপাতত বাদ। যাই হোক, শচিন সেদিন এমন মুডে ছিলেন যে, অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মনে হচ্ছিলো ভাড়া করে আনা নেট বোলার। ম্যাগ্রাথ, ওয়ার্নদেরকে পেঁয়াজকুচি করে ১২৮ বলে ১৪১ রান! ৩০৭ রানের ম্যামথ টোটাল তৎকালীন সময়ে কোন দল যদি চেজ করতে পারতো, তাহলে সেটা অস্ট্রেলিয়াই। কিন্তু তারা পারেনি, ভারতকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিমানে ওঠে। সেমিতে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু নায়ক বনে যান মারভিন ডিলন! পরপর দুই বলে আগের ম্যাচের নায়ক শচিন এবং আজাহারকে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচের চেহারা বদলে দেন সেই ছয় ফুটি দানব। গাঙ্গুলি চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু লারা চন্দরপলদের ২৪২ রান চেজ করতে ওভার লেগেছিল ৪৭টি। ব্যাগ অ্যান্ড ব্যাগেজ পরেরদিনই দেশের পথে টিম ইন্ডিয়া।

#আইসিসি_নকআউট_২০০০
সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে প্রথম কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। তবে সৌরভের চেয়ে এই টুর্নামেন্ট বেশি মনে রাখবেন জহির খান এবং যুবরাজ সিং। দুজনেরই যে অভিষেক ছিল সেই টুর্নামেন্টে। কেনিয়ার সাথে প্রথম দেখাতেই সহজ জয়, জহির খান বোলিংয়ে আগুন ঝরালেন। কোয়াটার ফাইনালে পুরনো শত্রু সেই অস্ট্রেলিয়া এবং যথারীতি শচিনের ব্যাট চওড়া! নাইরোবির মাঠে সেদিন পুরো ঝড়টা বয়ে গেলো ম্যাগ্রাথের উপর। গ্লেনকে বারবার আছড়ে ফেললেন সীমানার ওপারে। কিন্তু শচিনের বিদায়ের পরেই ভারতের চিরচেনা ব্যাটিং ধ্বস। বুক চিতিয়ে এগিয়ে এলেন যুবরাজ সিং। অভিষেক ম্যাচ, কিন্তু দেখে সেটা একবারের জন্যও মনে হয়নি। নিজেকে চেনালেন, সেই সাথে দলকে এনে দিলেন জয়। পরের ম্যাচেই আগেরবারের চ্যাম্পিওন দক্ষিন আফ্রিকাকে নাস্তানাবুদ করে ৯৫ রানের জয়, সেঞ্চুরি অধিনায়ক সৌরভের। ফাইনালে ভারত, মুখোমুখি নিউজিল্যান্ডের। গাঙ্গুলির আরেকটি সেঞ্চুরি, শিরোপার বেশ কাছে ভারত। কিন্তু বাধ সাধলেন ক্রিস কেয়ার্নস ! অপরাজিত ১০২ রান করে নিউজিল্যান্ডকে শিরোপার স্বাদ এনে দিলেন এই কিউই অলরাউন্ডার। শিরোপা থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে থেকেও খালি হাতে দেশের পথে ভারত। এ যেন, ‘এসেছিলে তবু আসো নাই, জানায়ে গেলে’!

#আইসিসি_চ্যাম্পিয়ন্স_ট্রফি_২০০২
নতুন এবং সেটলড একটা নাম নিয়ে শ্রীলংকাতে শুরু হল টুর্নামেন্টটি। জিম্বাবুয়ের সাথে প্রথম ম্যাচেই পচা শামুকে পা কাটার সম্ভবনা নিয়ে শুরু হল ভারতের যাত্রা। নতুন সেনসেশন মোহাম্মদ কাইফের চমৎকার ইনিংসে মান সন্মান বাচিয়ে কোনমতে পরের রাউন্ডে উঠল ভারত। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলো শেভাগ এবং গাঙ্গুলি। দুইজনের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের ২৬৯ রান ভারত চেজ করে ফেললো মাত্র ৩৯ ওভারেই। এরপরই সামনে চলে এলো দক্ষিন আফ্রিকা। সেমিফাইনালের সেই ম্যাচ একাধারে রোমাঞ্চ এবং চোকিংয়ের উদাহরন হিসাবে ইতিহাসে বাবু হয়ে বসে আছে। ভারতের ২৬১ রানের জবাবে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে দক্ষিন আফ্রিকার সংগ্রহ ১৯২ রান। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ান গিবসের রিটায়ার্ড হার্ট পুরো সিনারিওটাই বদলে দিলো। যুবরাজের অসাধারন ফিল্ডিং আর দক্ষিন আফ্রিকার চিরায়ত ভেঙে পড়ার প্রবনতা কাজে লাগিয়ে ভারত জিতে গেলো সেই ম্যাচ! ফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলংকা আর ভারত। কিন্তু শেষ হাসি হাসলো বৃষ্টি, সেটাও একবার নয় দুইবার। পরপর দুই দিনের বৃষ্টি ভারতকে সুযোগ দেয়নি রান চেজ করার, যদিও দুই দিনই শ্রীলংকা তাদের ইনিংস শেষ করতে পেরেছিল। ভারতকে তাই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হিসাবেই খুশি থাকতে হয় সেবার। সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য সেটার উত্তর একমাত্র ক্রিকেট ঈশ্বরের কাছেই জমা আছে।

#আইসিসি_চ্যাম্পিয়ন্স_ট্রফি_২০০৪
কেনিয়াকে হারিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলো ভারত, কিন্তু পরের ম্যাচেই চিরশত্রু পাকিস্তানের কাছে প্রথমবারের মতো কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে হেরে বিদায় নিতে হয়। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা আর কাকে বলে !

#আইসিসি_চ্যাম্পিয়ন্স_ট্রফি_২০০৬
দশ দলের অংশগ্রহনে সেবারের আসরে স্বাগতিক দল ছিল ভারত। শিরোপার অন্যতম দাবীদার দলটি পার হতে পারেনি গ্রুপ পর্বের বৈতরণীই। অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডের সাথে গ্রুপ শেয়ার করা ভারত শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয় টুর্নামেন্ট থেকে। গ্রেগ চ্যাপেলের সাথে গাঙ্গুলি-দ্রাবিড় ইস্যুতে টালমাটাল ভারতের জন্য সেটি ছিল এক মারাত্তক বডি ব্লো, যেটার ধাক্কা ২০০৭ সালের বিশ্বকাপেও ছিল লক্ষণীয়।

#আইসিসি_চ্যাম্পিয়ন্স_ট্রফি_২০০৯
তিন বছর পরে টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয় দক্ষিন আফ্রিকায়। ততদিনে বদলে গেছে অনেক কিছুই, নতুন অধিনায়ক ধোনির প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু গ্রুপ পর্যায়ের প্রথম ম্যাচেই হেরে বসে পাকিস্তানের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে দ্বিতীয় ম্যাচটিও বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধরাশায়ী করলেও সেমিতে যাবার জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। বিজনেস ক্লাসে চড়ে দেশে ফিরে আসে মাহি অ্যান্ড কোং।

#আইসিসি_চ্যাম্পিয়ন্স_ট্রফি_২০১৩
ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর খ্যাত ইংল্যান্ডে দ্বিতীয়বারের মতো বসে আইসিসির এই এলিট আসর। সত্য বলতে ভারতের তৎকালীন ফর্ম এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের রেকর্ড দেখে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়াটা অন্যায় কিছু ছিল না। কিন্তু যাদুটা মাঠেই দেখালো ভারত! ওপেনিংয়ে রোহিত এবং ধাওয়ানের বিপ্লব পুরো দলকেই বদলে দিলো ভোজবাজির মতো। সবার চোখ কপালে তুলে দিয়ে সেই আন্ডারডগ ভারতই ফাইনালে মুখোমুখি হল ইংল্যান্ডের। নাটকীয়তায় ভরা সেই বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে জাদেজার অসাধারন বোলিং দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ এনে দিলো ভারতকে। হ্যাঁ, সেই ভারত, যারা কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ডে পরপর পাঁচটি ম্যাচ হেরেছিল, তারাই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হল একটা ম্যাচ না হেরেই! ইতিহাসের প্রথম ক্যাপ্টেন হিসাবে বৈশ্বিক সকল আইসিসি টুর্নামেন্ট জয় করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

মোটামুটি সফল একটি দল হিসাবেই নিজেদের টাইটেল এবার ডিফেন্ড করবে ভারত। টুর্নামেন্টের স্থান না বদলালেও, এবারে বদলে গেছে অনেক কিছুই। ধোনি আজ শুধুই একজন উইকেট কিপার। পরিনত এবং এগ্রেসিভ কোহলি এখন বিরাট মাপের খেলোয়াড়। হয়তো কন্ডিশন অচেনা, হয়তো সদ্য আইপিএল খেলে আসা খেলোয়াড়গুলো পরিশ্রান্ত, হয়তো উপমহাদেশ থেকে গিয়েই ওই কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে পারবে না। কিন্তু দলটা যে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, দলটা যে তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশেলে দুর্দান্ত এক ককটেল, দলটা যে এখন এক আহত শিকারি! তবে কি ভারত হট ফেভারিট?

ভারত ফেভারিট নাকি আন্ডারডগ সেই প্রশ্নের উত্তর পরের পর্বের জন্য তোলা রইল। চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে ভারত কতদুর যাবে সেটার একটা যৌক্তিক বিশ্লেষণ দেবার চেষ্টা থাকবে আগামী পর্বে।

শেষ করার আগে আরেকটা তথ্য দিয়ে যাই, মনসুর আলী খান পতৌদির বাবা, নবাব ইফতিখার আলী খান পতৌদি সেই সকল বিরল ক্রিকেটারদের একজন, যিনি দুই দেশের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।জনাব ইফতিখার তিনটি টেস্ট খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে এবং তিনটি টেস্ট খেলেন ভারতের হয়ে। এবং ভারতের হয়ে খেলা ওই তিনটি টেস্টে অধিনায়ক কিন্তু তিনি নিজেই ছিলেন! সবই নবাবী ব্যাপার স্যাপার আর কি ! ইফতিখার আলী খান মারা যান, মনসুর আলী খানের এগারোতম জন্মদিনের দিন। নবাব যায়, নবাব আসে… প্রকৃতির এই এক অদ্ভুত খেলা…

,

মতামত জানান :