বর্তমান সময়ে বড় বড় দলগুলোর দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যায় তাদের দলে বেশকিছু ব্যাটার রয়েছে যারা মূহুর্তেই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের পরিস্থিতি। পাওয়ার হিটিং করে দলের রানকেও বাড়িয়ে নেন তারা। সেখানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। কিন্তু কেনো? এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী।
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশী ব্যাটারদের ভরাডুবি। টি-২০ তে যেমন ব্যাটিং করা দরকার সেটি করতে পারেনি রিয়াদ-লিটনরা। দিনশেষে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা রেখে দেশে ফিরেছে শূন্য হাতেই। বিশ্বকাপে কেনো ব্যাটারদের ভরাডুবি, তার কিছুটা ধারণা দিয়েছেন ইয়াসির। ইয়াসিরের ধারণা, আধুনিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ মানিয়ে নিতে পারছে না বলেই পাওয়ার হিটার নেই।
ইয়াসির বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় টেকনিক্যাল কোনো ব্যাপার এখানে নেই। হয়ত বিশ্বকাপে আমরা মানসিক কারণে ডাউন ছিলাম। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারলে সহজ হয়ে যাবে। শেখার তো কোনো শেষ নেই। প্রতিদিনই নতুন কিছু জানছি। প্রতিদিন ক্রিকেট পরিবর্তন হচ্ছে, আধুনিক হচ্ছে। আমরা যদি এগুলো না জানি, এ কারণেই হয়ত আমরা ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত থেকে পিছিয়ে থাকি। ছোট ছোট এই জিনিসগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলো উনিশ থেকে বিশে নিয়ে যায়।’
এছাড়াও পাওয়ার হিটিং করলেই যে দ্রুত রান উঠবে এটা মানতে নারাজ তিনি। তার মতে টি-২০ পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার পাশাপাশি সাহস রাখতে হয়। এই বিষয়ে ইয়াসির বলেন, ‘সাহসটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাহস না থাকলে আপনি কখনও ছয় মারতে পারবেন না। একজন ব্যাটারের জন্য এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- তাকে ছয় মারার সাহস রাখতে হবে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ দলে পাওয়ার হিটারের অভাব। অভাব পূরণ করতে চায় বিসিবি। ইয়াসির কি পাওয়ার হিটার করতে পারবে বা তাকে এই রোল প্লে করতে দেখা যাবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইয়াসির। নিজেকে পাওয়ার হিটার ভাবেন না তিনি। সুযোগ পেলে তিন ফরম্যাটেই দলের চাহিদা পূরণের আত্মবিশ্বাস আছে তার।
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে পাওয়ার হিটার না, আমি বলি তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। দলে যদি আমার ভূমিকা এমন হয় যে পাওয়ার হিটিং করতে হবে, আমি নিজেকে সেভাবেই তৈরি করবো।’