কিউই কাপ্তান উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে ছন্নছাড়া স্টার্ক! ফাইনাল হয়েছে ফাইনালের মতো, উইলিয়ামসনের ব্যাটিংয়ের বিপরীতে ওয়ার্নার – মার্শের দুর্দান্ত ব্যাটিং। ফিফটির পর ওয়ার্নারের বিদায় ঘন্টা বাজলেও কিউইদের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে উইকেটের জয় এনে দেয় মার্শ- ম্যাক্সওয়েল।
নিজেদের টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে নিউজিল্যান্ড৷ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়া টস ভাগ্যে জয়লাভ করে কিউইদের জানান ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। ফিঞ্চের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিলোনা সেটি প্রমাণ করে চলছিলো বোলাররা। গাপটিল-উইলিয়ামসন দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালালেও যেনো খেয় হারিয়ে বসেছিলো। ১০ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ৫৭ রান!
উইকেট না হারালেও অজি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে খোলাসা হতে পারছিলো না গাপটিল-কেন! দলীয় ১১ তম ওভারে গাপটিলের বিদায়। এরপরেই যেনো বদলে যেতে থাকে ম্যাচের দৃশ্যপট। এর মাঝে কাপ্তান উইলিয়ামসনের ক্যাচ মিস করে বসে হ্যাজেলউড। জীবন পেয়ে উইলিয়ামসন অজি বোলারদের উপর চালাতে থাকেন ব্যাটিং তাণ্ডব। ফিফটির পর আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের বিপরীতে স্টার্ক হারিয়ে ফেলেন খেয়। ব্যক্তিগত ৮৫ রানে উইলিয়ামসন আউট হলেও বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন নিশাম-সেইফার্টরা। হ্যাজেলউডের ৩ উইকেটের দিনে ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৭২ রান।
চ্যাম্পিয়ন হতে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ১৭৩ রান! রান বেশী না হলেও ফাইনাল বলে বাড়তি চাপ। সেই চাপ মাথায় নিয়ে খেলতে নামে অজি অধিনায়ক ও ওয়ার্নার। শুরতেই ফিঞ্চের বিদায়, অজি ভক্তদের মনে ভয়ের সৃষ্টি। এরপরের গল্পটা যে বদলে যাওয়ার, ঘুরে দাঁড়ানোর। যেখানে দলের ত্রাণকর্তা ওয়ার্নার ও মার্শ। দারুণ ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতিকে দিয়েছেন উজাড় করে। দুইজনের ব্যাটে অজিরা দেখতে থাকে জয়ের স্বপ্ন।
ফিফটির পর ওয়ার্নারের বিদায়; মার্শ-ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে বাকি পথ চলতে থাকে অজিরা। মার্শের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে ম্যাক্সওয়েলও দেখান ব্যাটিং কারিশমা। এরামাঝে মাত্র ৩১ বলে ফিফটি স্পর্শ করে রেকর্ড গড়েন মার্শ। কেননা টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে এটিই দ্রুততম ফিফটি।
মার্শের দারুণ ব্যাটিংয়ের সাথে ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ব্যাটিংয়ে ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। আট উইকেটের বিশাল জয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তুললো অজিরা।

(Photo by Gareth Copley-ICC/ICC via Getty Images)
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
নিউজিল্যান্ড ১৭২/৪(২০ ওভার)
উইলিয়ামসন ৮৫, গাপটিল ২৮;
হ্যাজেলউড ১৬/৩, জ্যাম্পা ২৬/১
অস্ট্রেলিয়া ১৭৩/২(১৮.৫ ওভার)
মার্শ ৭৭*, ওয়ার্নার ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ২৮*
বোল্ট ১৮/২
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মিচেল মার্শ।
সিরিজ সেরা: ডেভিড ওয়ার্নার।

(Photo by Francois Nel/Getty Images)