ওয়ানডে সুপার লীগের বিদায় ও ক্রিকেটের পশ্চাদযাত্রা!

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১০ দল নির্ধারণে চলছে তিন বছরের সুপার লিগ, এতে করে সুযোগ পাচ্ছে উঠতি দলগুলো। কিন্তু ২০২৭ বিশ্বকাপ থেকে থাকছে না এই পদ্ধতি। ২০২৩ বিশ্বকাপের পরবর্তী বিশ্বকাপগুলোতে র‌্যাংকিং আর প্রথাগত বাছাই পদ্ধতিতেই হবে চূড়ান্ত দল। এতে করে কপাল পুড়তেছে উঠতি দলগুলোর।

ভারতে হতে যাওয়া ২০২৩ বিশ্বকাপে অংশ নিবে ১০ টি দল। স্বাগতিক দলের সঙ্গে বাকি ৯ টি দল চূড়ান্ত হবে ১৩ দলের ওয়ানডে সুপার লিগের র‍্যাংকিং পদ্ধতিতে। ১২টি পূর্ণ সদস্যের সঙ্গে আটটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে নেদারল্যান্ডসও!

এই লীগের প্রতি সিরিজের তিন ম্যাচে ১০টি করে পয়েন্টের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে সেরা ৯ দল খেলবে এই বিশ্বকাপে। তবে পরের আসর তথা ২০২৭ সালে দল বেড়ে দাঁড়াবে ১৪টি। সেই সময় এই পদ্ধতি(সুপার লিগ) থাকলে প্রক্রিয়া অনেক লম্বা হবে বলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতেছে আইসিসি।

এর আগে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ এর মাধ্যমে আগে কোয়ালিফিকেশন হয়েছিলো। অ্যাসোসিয়েট দলগুলোর জন্য ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিলো অনেক বড় অর্জন। এছাড়াও এই নিয়মে তারা বেশীরভাগ সময়ই ক্রিকেটের সাথে কাটাতে পারতো। এতে করে ইউরোপ, আফ্রিকা সহ এশিয়া মহাদেশেও ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখা দিয়েছিলো ছোট ছোট দলগুলোর। যেখানে জার্মানি, জাপান, নামিবিয়া, পাপুয়ানিউগিনির মতো দলগুলো নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পেতো। এছাড়াও সুপার লীগের নিয়মে অ্যাসোসিয়েট দলগুলো ফুল মেম্বারদের সাথে খেলার সুযোগ পেতেন।

আইসিসির নতুন নিয়মে বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে ছোট দলগুলোর মুখোমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেলো। সেই সাথে ক্রিকেটের প্রতি যেনো উঠতি দলগুলোর আগ্রহও কমতে থাকবে সেটাও অনেকটা নিশিত।

আইসিসি হঠাৎ করে এই নিয়ম বন্ধ করলেন, এতে করে ক্রিকেট তার গতি হারাবে বলে মনে করেন অনেকেই। এছাড়াও র‍্যাংকিংয়ে উপরের দিকে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে সুযোগ পাবেনা উঠতি দলগুলো। এমন নিয়মে উঠতি দলগুলোর অবস্থা বেশ নাজেহাল। ক্রিকেট যেখানে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার কথা সেখানে ক্রিকেটে টিকে থাকায় যেনো কঠিন হয়ে যাবে উঠতি দলগুলোর সামনে।