লর্ডস ভূমিতে পা রেখেছিলেন আগেও, কিন্তু ৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো একরাশ হতাশা নিয়ে। হতাশা এতোটাই তীব্র ছিলো যে মাত্র তিনটা রানের জন্য তার লর্ডসে অনার্স পাস করা হয়নি। এবার লর্ডসে ফিরলেন, তবে কিউইদের জার্সিতে নয়; ইংলিশদের ব্লেজার গায়ে।
সাত বছর পর লর্ডসের আকাশে নতুন স্বপ্ন বুনেছেন ম্যাককুলাম! এবারের স্বপ্নটা ইংলিশদের সাদা পোশাকে রঙিন দিনের আগমন ঘটানোর; স্বপ্ন আবারও বিশ্ব ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে ইংলিশদের রাজার আসনে নেওয়ার। ঐ চোখ জোড়া তাকে একবার হতাশ করেছিলো, আজ বহুদিন পর লর্ডসে পা রেখে হয়তো আকাশ পানে চেয়ে সেদিনের আক্ষেপ ভুলে নতুন স্বপ্ন দেখেছিলো ম্যাককুলাম; সানগ্লাস চোঝে, মুখের কোণে এক চিলতে হাসি অন্তত সেটিই বলে!
কিউই ক্রিকেটের অন্যতম সেরা, বিশ্ব ক্রিকেটের সেরাদের একজন; যার নামের পাশে ঠিক ১৪৬৭৬ আন্তর্জাতিক রান, সাদা পোশাকে সর্বোচ্চ স্কোর ৩০২! সেই তিনি প্রথমবারের মতো কোচের দায়িত্বে লাল বলের চ্যালেঞ্জ সামলাতে। এই লাল বলের চ্যালেঞ্জ সামলিয়েছেন বহুবার, এবারের চ্যালেঞ্জটা আলাদা, এবারের চ্যালেঞ্জটা স্টোকস, জেমি, রুটদের সেরা বানানোর। এবার তিন রানের আক্ষেপ তাকে ভাবাবে না, তাকে ভাবাবে লর্ডসে কিভাবে ইংলিশরা রাজত্ব করবে সেটি!
রঙিন পোশাকে ম্যাককুলাম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেশ কয়েকবার, কিন্তু গল্পটা যখন সাদা পোশাকের, তখন ম্যাককুলামের অভিজ্ঞতা শূন্য! আর সেটি পূরণ করার সুযোগ এলো এলোমেলো ইংলিশ দলকে দিয়ে। এবার লর্ডসে সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি ম্যাককুলাম কিউইদের জয়ের ছক বলেননি, বলেছেন ইংল্যান্ডকে নাম্বার ওয়ান বানানোর কথা। বলেছেন স্টোকস, রুটদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ার লক্ষ্য! এবারের লর্ডসে ম্যাককুলামকে ইংলিশ ভক্তরা প্রতিপক্ষ হিসেবে সাদরে গ্রহণ করেননি, গ্রহণ করেছেন তাদেরই একজন হিসেবে!
সময় বদলায়; ঘড়ির কাঁটায় ঘুরতে থাকে অবিরাম! ম্যাককুলামরাও আক্ষেপ ভুলে নতুন স্বপ্ন নিয়ে লর্ডসে পা রাখে, চোখ জোড়া তাকিয়ে রয় কতশত স্বপ্নের পানে…..