একটু পিছনে ফিরে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফিরলে দু’টি চরিত্র ভেসে উঠবে, যার একটি ম্যাথু ওয়েডের দুর্দান্ত ফিনিশিং; আরেকটি চার ওভারে ৫৭ রানের সমীকরণে ৬ বল হাতে রেখে পৌঁছানোর দৃশ্য। এবার আপনি যাকে খুঁজে পেলেন সে তো সাদা পোশাকেও সুযোগটা লুফে নিয়েছেন নিজের মতো করে।
বিশ্বমঞ্চের সেমিতে ওপেনিংয়ে নেমে খেলেছিলেন ৪৭ বলে ৭২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস! পরের গল্পে ফিরতে চাই সাদা পোশাকে, লর্ডস ভূমিতে। যেখানে একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়েই ছিলো তার সংশয় সেখানে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি, সেটিও ব্রড-জেমিদের মতো কোয়ালিটি বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে, দুর্দান্ত…
হেনরির ইনজুরি, একাদশে সুযোগ পেয়ে লর্ডসে করেন অর্নাস পাশ; সেটিও চাপকে জয় করে। এবার ট্রেন্ট ব্রিজেও মেতেছেন সেঞ্চুরির উদযাপনে, করেছেন উদযাপন। ৩৭ গড়টাকে নিয়েছেন ফিফটির ঘরে। জেমি-ব্রডদের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে নামার আগে শক্ত ভীত গড়া কিউইরা পৌঁছেছেন ৫৫৩ তে, যেখানে মিচেলের অনবদ্য ১৯০ রান…
ড্যারিল মিচেল যেনো সুযোগের অপেক্ষায় চেয়ে রয়! নিজের প্রথম ৫ টেস্টে মাত্র ৫ ইনিংসে ব্যাটিং পাওয়া মিডল অর্ডার এই ব্যাটার আক্ষেপ করে বলতেই পারতেন ইস; যদি এমন সুযোগ শুরু থেকেই পেতাম তাহলে নিজের নামটা রঙিন করতাম আরও! তবে মিচেল এই অল্প সময়ে যতোটা পরিণত হয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেটিকে আপনি দুর্দান্ত বলতেই পারেন।
নিজের প্রথম টেস্টে ফিফটি, চতুর্থ টেস্টে সেঞ্চুরি; ততদিনে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পেয়েছিলেন মাত্র চারবার! আর এবার সুযোগ পেয়ে তো নিজের স্পিরিট প্রকাশ করলেন বাইশ গজে। রঙিন কিংবা সাদা পোশাক; মিচেল যেনো চেয়ে থাকেন সুযোগের অপেক্ষায়! আর সুযোগ পেলেই চিনিয়ে দেন নিজের জাত।
মিচেলদের মতো প্রতিভাবানরা নিজেদের প্রমাণে মুখিয়ে থাকে, রঙিন কিংবা সাদা পোশাক তাদের কাছে কোনো ইস্যু হয়না। তারা শুধু জানেন বাইশ গজে এরাই তার শেষ সুযোগ হতে পারে; শেষটা রাঙিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা তাদের নিয়ে লিখতে বাধ্য করে বারবার।
অভিনন্দন ড্যারিল মিচেল!