মাত্র দুই মাসেই আগেও নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে মাতিয়েছেন বাইশ গজ। সেটিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, এবারও বাইশ গজ মাতাবেন এই ত্রিশ বছর বয়সী স্পিনার কিন্তু সেটি কিউইদের জার্সিতে। কিন্তু কিভাবে?
একজন ক্রিকেটার দুই দেশের হয়ে খেলেছেন এমন নজির কম নেই। ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক মরগ্যানও খেলেছেন দুই দেশের পক্ষে। কিন্তু মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে একজন ক্রিকেটার দু’টি দেশের হয়ে খেলতে পারবে কি? আইসিসির নিয়ম বলছে, টেস্ট খেলিয়ে পূর্ণ সদস্য দেশের হয়ে খেলার যোগ্যতামান থাকা কোনও ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েট দেশের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন। তার পরেও পূর্ণ সদস্য দেশের হয়ে মাঠে নামা আটকাবে না তাঁর। তবে একবার পূর্ণ সদস্য দেশের হয়ে নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে ৩ বছর সহযোগী দেশের হয়ে খেলতে পারবেন না তিনি। তাইতো নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে মাঠ মাতাতে পারবেন মাইকেল রিপন।
জন্ম আফ্রিকায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে। এবার সেই তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে মাঠ মাতানোর অপেক্ষায়। এতোকিছু কিভাবে সম্ভব? উত্তরে মিলেছে ২০১৩ সাল থেকেই কিউইদেশে পাড়ি জমিয়েছেন রিপন। তাইতো রিপন এখন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা। তাই খেলতে পারবেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে।
বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান রিপন নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৯টি ওয়ানডে ও ১৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে ৩৯৬ রান ও ২৮টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি। গত মার্চ-এপ্রিলে নেদারল্যান্ডসের হয়ে তিনি শেষবার মাঠে নামেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। এবার আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের জন্য প্রথমবার নিউজিল্যান্ড দলে সুযোগ পেলেন ত্রিশ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
