৪২ বলে আফগানিস্তানের তখনো প্রয়োজন ছিল ৬৬ রান। ১২৮ রানের টার্গেটের ম্যাচে তখন ফেভারিট ছিল বাংলাদেশই। কিন্তু নাজিবুল্লাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোরে পা রাখলো আফগানিস্তান।
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো করতে পারেননি ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারেইও আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের স্পিনে কাটা পড়ে দ্রুতই ফেরেন ননাইম। এরপর ঐ মুজিবের বলেই ১৪ বলে ৫ রান করে এনামুল হক বিজয়ও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। দুইটি চারে সাকিব ভাল ইনিংসের আশা দেখালেও মুজিবের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাকিবও একাই পথ ধরেন।
মুজিবের পর রশিদ খান এসেই ব্যাক্তিগত ১ রানেই মুশফিকুর রহিম ফেরান। এরপর ২৫ রানে একটি ছোট জুটি গড়ে বাংলাদেশের ইনিংস বড় করতে চেয়েছিল আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ১২ রান করে আফিফ আউট হবার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। এরপর মোসাদ্দেক হোসেনের ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে সংগ্রহটা সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ দাড়ায় ১২৭ রান।
১২৮ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আফগান দুই ওপেনার কে চাপে রাখে বাংলাদেশ। ৫ম ওভারে গুরবাজকে আউটের পর আফগানিস্তানের ব্যাটিং কিছুটা ধীরগতির হয়ে যায়। পাওয়ার প্লের পর আফগান ওপেনার জাজাই বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকে। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে লেগ বিফোরে ফাঁদে পড়ে ২৩ রান ফেরেন জাজাই। এরপর আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন সাইফুদ্দীন।
তখন বাংলাদেশের দিকে ম্যাচ মোড় নেয়। কিন্তু
মোস্তাফিজের করা ১৭তম ওভারে ১৭ রান নেওয়ার পর সাইফুউদ্দিনের ওভারে ২২ রান নিলে আফগানিস্তানের জয় এরপর হয়ে পরে আনুষ্ঠানিকতা। ১৯ তম ওভারে মোসাদ্দেক কে ৬ মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করল আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের হয়ে নাজিবউল্লাহ ৩৭ ও ইব্রাহীম ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে আফগানিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ১২৭/৭ (২০ ওভার) (সাকিব ১১, বিজয় ৫, নাইম ৬, আফিফ ১২, রিয়াদ ২৫, মোসাদ্দেক ৪৮*)
আফগানিস্তান- ১৩১/৩ (১৮.৩ ওভার) (জাজাই ২৩, ইব্রাহীম ৪২*, নবি ৮, গুরবাজ ১১, নাজিবউল্লাহ ৩৭*)
ফলাফল আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী