কয়েক দিন আগে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে ফিঞ্চ বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপের বাকী রয়েছে এক বছর। এটিই সময় একজন নেতাকে আগামী বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে দেওয়ার।’
অথচ ফিঞ্চেকে বাদ দেওয়ার গুঞ্জনও ছিলো না। ফিঞ্চের ব্যাট হাসছিলো না বেশকিছু দিন ধরেই। ফিঞ্চের সামনে দুইটা পথ ছিলো। এক. অবসর। দুই. যেকোনো মূহুর্তে বাদ পড়ার ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কেননা বড় দলগুলোতে একজন খেলোয়াড়ের বাদ পড়ার জন্য যেটি দরকার ফিঞ্চের ক্ষেত্রে সেটি যথেষ্ট ছিলো। ফিঞ্চ ঝুঁকি নিলেন না, তাকে নিয়ে আলোচনা হবার আগেই বিদায় বলে দিলেন।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের শূন্যতা পূরণ হয়েছিলো মরগানের হাত ধরে। সেই মরগান কিছুদিন আগে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে আনন্দদায়ক এবং ফলপ্রসূ অধ্যায় পার করেছি। আমি বিশ্বাস করি এখনই নেতৃত্ব ছাড়ার সঠিক সময়। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মরগান চেয়েছিলো সামনে বিশ্বকাপে তার দল ভালো করুক। একজন নতুন নেতা দলকে সাজিয়ে নিক, যাতে বিশ্বকাপে ব্যালেন্সড ঠিক রাখতে পারে। মরগান বা ফিঞ্চরা ঠিক এই কারণেই বিদায়ের পরেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হোন।
রিয়াদের সামনেও ঠিক এদের মতো দুইটা পথ খোলা ছিলো। এক. বিদায় বলা। দুই. বাদ পড়ার ঝুঁকি নিয়ে দাঁতে দাঁত কামড়িয়ে সব সমালোচনা হজম করা। রিয়াদ দুই নাম্বার অপশন বেছে নিলেন। তিনি বাস্তবতা না বুঝে ‘যদি-কিন্তু’ সুযোগ পেয়ে যাই এই আশায় বসে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত রিয়াদকে বাদ পড়তে হলো। রিয়াদ সরাসরি না বললেও আকার – ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন বিদায় বলার চেয়ে বাদ বলা কঠিন! তাইতো রিয়াদকে একটা গুরুত্বপূর্ণ টুর্নমেন্টের আগে বাদ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হলো তার মেয়াদ শেষ….