ম্যাক্সওয়েল ক্যারির ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়

Arfin Rupok
  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • শেয়ার করুন

  • Facebook

তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে অলিখিত ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ম্যানচেস্টারে ৩ সেঞ্চুরির ম্যাচে ৩ উইকেটের জয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতে নিলো সফরকারীরা।

এরআগে ম্যানচেস্টারে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ কাপ্তান মরগান। স্যাম কারেনকে বসিয়ে একাদশে সুযোগ করে দেন মার্ক উডকে। অপরদিকে অপরিবর্তিত একাদশ দিয়ে মাঠে নামেন ফিঞ্চ বাহিনী। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। এরপর তৃতীয় উইকেটে বেয়ারেস্টো এবং অধিনায়ক মরগানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। কিন্তু জ্যাম্পার বলে মরগানের বিদায়ে খুব বেশী রান যুক্ত করতে পারেননি তারা। দলীয় ১১তম ওভারে স্টার্কের তালুবন্দি হয়ে অধিনায়ক মরগান ফিরে গেলে ভাঙ্গে ৬৭ রানের জুটি।

মরগান ফিরে গেলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ওপেনার বেয়ারেস্টো। শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করা বেয়ারেস্টো ৫ম উইকেট জুটিতে বাটলারের সাথে গড়েন ২৯ রানের জুটি। এরপর ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে বিলিংসকে সাথে নিয়ে গড়েন ১১৪ রানের জুটি। সেই সাথে বেয়ারেস্টো তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি। অপরদিকে বিলিংস হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। বিলিংস ফেরার পর ১০ রান যুক্ত করতেই আউট হয়ে ফিরতে হয় যবেয়ারেস্টোকে। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ২২০ রান।

বাকি সময়ে ক্রিস ওকসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৩০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সেই সাথে ওকস তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। এছাড়াও শেষদিকে টম কারেন ১৯ এবং রশীদ ১১ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৩০২ রানের পুঁজি এনে দেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১২ রান আসে বেয়ারেস্টোর ব্যাট থেকে। এছাড়াও বিলিংস ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। ওকস অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে স্টার্ক এবং জ্যাম্পা ৩ টি করে উইকেট শিকার করেন।

৩০৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়ার্নার এবং ফিঞ্চ। বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েন। দলীয় ২১ রানে ফিঞ্চ এবং দলীয় ৩১ রানে স্টয়নিস আউট হলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এরপর নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা ওয়ার্নার বড় ইনিংস খেলার আশা জাগিয়ে দলীয় ৫১ এবং ব্যক্তিগত ২৪ রানে আউট হলে আবারো চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের পর দ্রুত ফিরে যান মার্শ। এরপর দলীয় ৭৩ রানে লাবুশানের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেন বিলিংস এবং বাটলার। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তখন ৭৩ রানে ৫ উইকেট।

দলের এমন বিপদে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন ম্যাক্সওয়েল। ৬ষ্ঠ উইকেটে ম্যাক্সওয়েলকে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে লেগে পড়েন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্যারি। ক্যারি এবং ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে অজি ভক্তরা। ম্যাক্সওয়েল এবং ক্যারি হতাশ করেছি তাদের। ম্যাচে অসাধারণ এক জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা যুক্ত করেন ২১২ রান। সেই সাথে ম্যাক্সওয়েল তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এবং ক্যারি দেখা পান মেইডেন ওয়ানডে সেঞ্চুরির।

শেষ দিকে ম্যাক্সওয়েল এবং ক্যারির বিদায়ে জমে উঠেছিল ম্যাচের দৃশ্য। কিন্তু শেষ ওভারে রশীদের প্রথম বলে ছক্কা এবং চতুর্থ বলে চার হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি জিতে নেয় ৩ উইকেটের ব্যবধানে। সেই সাথে ২-১ এ সিরিজ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
ইংল্যান্ড- ৩০২/৯(৫০ ওভার)
বেয়ারেস্টো ১১২, বিলিংস ৫৭, ওকস ৫৩*
জ্যাম্পা ৫১/৩, স্টার্ক ৭৪/৩, ক্যামিন্স ৫৩/১

অস্ট্রেলিয়া- ৩০৫/৭(৪৯.৪ ওভার)
ম্যাক্সওয়েল ১০৮, ক্যারি ১০৬, ওয়ার্নার ২৪
ওকস ৪৬/২, রুট ৪৬/২, আর্চার ৬০/১

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ম্যাক্সওয়েল।
সিরিজ সেরা: ম্যাক্সওয়েল।

 

,

মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরো খবর