দাদাবাবু – ৬

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০
  • শেয়ার করুন

  • Facebook

” মহামিলন”

দাদা আর মোস্তফা মামুন যখন মুখোমুখি-

কাঁধে শতবর্ষ পুরনো ব্যাগ ঝুলিয়ে খরম পায়ে মুখে মদের বোঁটকা গন্ধ নিয়ে দাদা যখন গুলিস্তানের মোড়ে মোস্তফা মামুনের সাথে ধাক্কা খেলেন মামুন তখন মলম বিক্রি করছিলেন না ঠিক তবে দাঁড়িয়ে ছিলেন চুপচাপ। একেতো দাদার ধাক্কা তারপর মদের বোঁটকা গন্ধ। দুইয়ে মিলে মামুন সাহেবের উপর ১৫০ নিউটন বলের ধাক্কা আর তিনি গিয়ে উড়ে পড়লেন একশ হাত দূরে।
ধূতি তুলে দৌর দিলেন দাদা।

দাদা- ” কীরে? দেগতে পাস না কী?? “

মামুন- ” দেখতে পাবনা কেন? তুমি কে? আর ওমন করে ধুতি ধরে রেখেছো কেন?”

দাদা- ” আমি উঁটু ফ্রম পুঁটু। পুঁটু মিনস পঁটলতলা। মানে আমার বাড়ির নাম আরকী। তুই?”

মামুন- ” আমি তেরে নাম মামুন। কালেরকন্ঠের ক্রীড়া সম্পাদক এবং ওয়ান অব দ্যা মেজর এনিমি অব সাকিব আল হাসান”

দাদা- ” তুই ছেই তেরে নাম মামুন? জানিছ, আমি তোর অনেক নাম শুনেজি। ইনফ্যাক্ট তোর লেখাগুলিও অনেক পড়েজি রে। পড়ে তো মুগ্ধ হয়ে গেজি মাইরি। তুই জানিছ না রে তোর ছাথে দেগা করার জন্যই এত দূর ছুটে এসেজি রে”

মামুন- ” ও, তাই নাকি? তা আগে বলবেন তো। আমি – আপনি দাদা-দিদি। সরি, ভাই-ভাই… চলুন। সামনের দোকানটাতে বসি আর সাকিবকে ফাঁদে ফেলার গল্প শুনাই আপনাকে”

দাদা- ” এ বল বল। আমার খুব ভালো লাগজে। অনেক উত্তেজিত হয়ে আজি রে তোর এই কাহিনীগুলো ছুনার জন্য। তাড়াতাড়ি বল। শুনে কান জুড়াই”

তা শোনো… বলে মামুন শুরু করলেন সেই ২০১০ থেকে।
আর দাদা শুনছেন মন্ত্রমুগ্ধের মত। যেন আজাইরা আলাপের এক বিমুগ্ধ শ্রোতা।

গল্প শেষে দাদা জিজ্ঞেস করলেন-
” তা তোর বউ কি সাকিব ভক্ত?”

মামুন- ” আমি এক্ষেত্রে খুব লাকি জান? ও আমার মতই”

দাদা- ” আর আমাকে দেখ, প্রতিদিন ঝাঁটার বাড়ি খাই। তোর বৌদি, সাকিব ভক্তরে। কিছু বললেই বাসন কোসন ছুড়ে মারে। “

মামুন- ” আহারে, আর তোমার দেশের কি অবস্থা? ওখানে সাকিব হেটার্স সংঘের কার্যক্রম কেমন?”

দাদা- ” অতি নগণ্য। ওখানে কিজু বলারই ছাহছ নেই। ওই গলগাদার সাপোর্টারগুলো ভীষণ মার দেয় সাকিববিদ্বেষীদের। তুই তোদের খবর বল”

মামুন- ” আমাদের এদিককার খবর ভালোই। অনেক আবাল আছে তো এই দেশে। বড় বড় সেলিব্রিটিরাও আমাদের সাকিব হেটার্স সংঘের সদস্য।
ক্রিকেটবোর্ডের কর্তারাও। সাংবাদিকরাও। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিবন্ধী ব্লগাররাও আমাদের দলে যোগ দিয়েছে”

দাদা- ” বাহ বাহ, বেছ ভালো দেগা যায়। যাই রে, কটা টাকা দে তো”

মামুন- ” এই নাও। তবে ফেরত দিও কিন্তু। নইলে পত্রিকায় ইজ্জতের ফালুদা বানাব”

দাদা- ” আমি ফালুদা খাইনা। পারলে ইজ্জতের মদ বানাস”

 

মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরো খবর