সৌম্য-শামীম নৈপুণ্যে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

Musaddik Mitu
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১
  • শেয়ার করুন

  • Facebook

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন মারুমানি ও মাধেভেরে। ওপেনিং জুটিতে তারা দুইজন যোগ করেন ৬৩ রান। ব্যক্তিগত ২৭ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে মারুমানি প্যাভিলিয়নে ফিরলে জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

মারুমানির পর ক্রিজে আসেন চাকাভা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চাকাভা-মাধেভেরে যোগ করেন ৫৯ রান। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে সৌম্য সরকারের প্রথম শিকার হয়ে চাকাভা সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। চাকাভার পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই সৌম্য সরকারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা।

রাজার পর ক্রিজে আসেন ডিওন মায়ারস। মায়ারস ক্রিজে আসার পর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে সাকিব আল হাসানের বলে সাজঘরে ফিরেন মাধেভেরে। মাধেভেরের পর ক্রিজে আসেন রায়ান বার্ল। ৫ম উইকেট জুটিতে মায়ারস-বার্ল যোগ করেন ২৯ রান।ব্যক্তিগত ২৩ রানে শরিফুল ইসলামের বলে ডিওন মায়ারস সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে। মায়ারসের পর ক্রিজে আসেন জংয়ে। বার্ল-জংয়ে মিলে ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্যাট হাতে মাধেভেরে ৫৪(৩৬) রান, চাকাভা ৪৮(২২) রান ও রায়ান বার্ল ৩১(১৫)* রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য সরকার ২ উইকেট, সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।

১৯৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে তারা গড়েন ২০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৩ রানে মুজারাবানির প্রথম শিকার হয়ে মোহাম্মদ নাইম শেখ সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

নাইমের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-সৌম্য যোগ করেন ৫০ রান।ব্যক্তিগত ২৫ রানে জংয়ের বলে সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য-রিয়াদ গড়েন ৬৩ রানের পার্টনারশিপ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৬৮ রানে জংয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ক্রিজে এসে নামের পাশে দ্রুতই ১৪ রান যোগ করেই মাসাকাদজার বলে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফের পরে ক্রিজে আসেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।পঞ্চম উইকেট জুটিতে শামীম-রিয়াদ গড়েন ৩৭ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। শামীম-সোহান মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১৯৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে সৌম্য সরকার ৬৮(৪৯) রান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৪(২৮) রান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৩১(১৫)* রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে বল হাতে ব্লেসিং মুজারাবানি ও লুক জংয়ে ২টি করে উইকেট। মাসাকাদজা নেন ১টি উইকেট।

ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৫ উইকেটে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সৌম্য সরকার।

ম্যান অফ দ্যা সিরিজঃ- সৌম্য সরকার।

জিম্বাবুয়ে একাদশঃ- মারুমানি, মাধেভেরে, চাকাভা, রাজা(ক্যাপ্টেন), মায়ারস, বার্ল, জংয়ে, সোম্বা, মাসাকাদজা, মুজারাবানি ও চাতারা।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, সৌম্য, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আফিফ, শামীম, সোহান, সাইফউদ্দিন, নাসুম, তাসকিন ও শরিফুল।

 

, , , , , ,

মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরো খবর