সাম্প্রতিক আইপিএল শেষ করে ইংল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়ে গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাসেল বলেন, আপনি যদি ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের মতো দেশ থেকে আসেন, যেখানে টেস্ট খেলোয়াড়দের যত্ন নেয়া হয়, তাহলে সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
ভারতের ব্যাটিং মহাতারকা কোহলি ৩ জুন আইপিএল ট্রফি জয়ের পরও টেস্ট ক্রিকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। টেস্টকে আইপিএলের চেয়ে পাঁচ ধাপ ওপরে স্থান দিয়েছেন তিনি। তবে রাসেল বাস্তবতা দেখেন একটু ভিন্ন চোখে। তার মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন।
তিনি বলেন, এই খেলোয়াড়েরা (ভারত-অস্ট্রেলিয়ার) টেস্ট ক্রিকেট খেলতে মোটা অঙ্কের কেন্দ্রীয় চুক্তি পায়, বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পায়। হ্যাঁ, তারাও খেলতেই চায়। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়? আপনি হয়তো ৫০ বা ১০০টা টেস্ট খেলবেন, কিন্তু অবসরের পর দেখবেন, দেখানোর মতো বিশেষ কিছু নেই।
রাসেল আরও যোগ করেন, বেঁচে থাকার জন্য উপার্জনটা মুখ্য, অবশ্যই আপনি চাইবেন এমন একটা জীবন, যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচা যায় এবং পরিবারকে ভালোভাবে দেখাশোনা করা যায়।
২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল রাসেলের। সেটাই তার একমাত্র টেস্ট। এরপর আর কখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সাদা পোশাকে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। রাসেল জানালেন, আমাকে কার্যত টেস্ট দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। তারা আমাকে সাদা বলের খেলোয়াড় হিসেবেই দেখেছিল, ব্যস সেটাই ছিল বাস্তবতা।
টেস্টে আর সুযোগ না পেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজেকে কিংবদন্তি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন রাসেল। বিশ্বের মাত্র ছয়জন ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত ১০টির বেশি টি টোয়েন্টি লিগ জিতেছেন তাদের একজন তিনি।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই সব ফ্র্যাঞ্চাইজি শিরোপা আর ছক্কার ঝলক বাদ দিয়ে যদি দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ার পেতেন, তবে সেটা বেছে নিতেন কিনা? রাসেলের জবাব ছিল সোজাসাপ্টা- সত্যি বলতে ‘না’। আমি টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বাস করি, কিন্তু দিনের শেষে আমি একজন পেশাদার। এটা আমার যাত্রার অংশ ছিল না। আমার কোনো আফসোস নেই। কারণ, আমি নিজে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিইনি।