ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে ২য় ইনিংসে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এবাদত হোসেনের ৪ উইকেটে ৪র্থ দিনটা ছিল বাংলাদেশের। দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৭ রান। লিড ১৭ রানের।
আগের দিনের ৬ উইকেটে ৪০১ রান করা বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনে মাত্র ৫৭ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায়। ৪র্থ দিনে মিরাজ-ইয়াসিরের ৭৫ রানের জুটিতে ভাল ব্যাটিং করছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ৪৪৫ রানের মাথায় হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রানে দূরে থেকে ৪৭ রানে আউট হয় মিরাজ। এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ ইনিংস। ২৬ রান করা ইয়াছির বিদায় নিলে এরপর তাসকিন আহমেদ ৫ রান ও শরিফুল ইসলাম ৭ রানে আউট হলে ৪৫৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ১ম ইনিংস।
২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ২৯ রানে ট্যাম লাথামকে সরাসরি বোল্ড আউট করে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়েকে তার ব্যক্তিগত ১৩ রানে এবাদত হোসেনের বলে স্লিপে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরান সাদমান ইসলাম। কনওয়ের পর টেইলর ও ইয়াং ৭৩ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। যদিও তাদের জুটি ভাঙার সহজ সুযোগ গুলো মিস করে বাংলাদেশ। ৬৯ রান করা ইয়াং তখন সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু এবাদত হোসেনের দারুণ এক বলে বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন ইয়াং। এরপর একাই ওভারে হ্যানরি নিকোলাস কে বোল্ড করে ফেরান এবাদত হোসেন। একওভারে দুই উইকেট নেওয়ার পরেও ক্ষান্ত হয়নি এবাদত। এরপর নিজের পরের ওভারেই টম ব্লান্ডেলকেও এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ডানহাতি এই পেসার। ১৩৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খুব চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
দিন শেষে টেইলর ও রবীন্দ্রের কল্যাণে ৪র্থ দিন পাড় করে নিউজিল্যান্ড। ৪র্থ দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৭ রান। টেলর অপরাজিত আছেন ১০১ বলে ৩৭ রানে। তার সাথে ক্রিজে ৩০ বলে ৬ রান করে আছেন রাচিন রবীন্দ্র। বাংলাদেশের পক্ষে ৪র্থ দিনে এবাদত চারটি ও তাসকিন একটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ৩২৮
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ৪৫৮/১০ (ওভার ১৭৬.২) (জয় ৭৮, শান্ত ৬৪, মুমিনুল ৮৮, লিটন ৮৬, ইয়াসির ২৬, মিরাজ ৪৭; ওয়েগনার ৩/১০১, বোল্ট ৪/৮৫)
নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৪৭/৫ (৬৩ ওভার) (লাথাম ১৪, ইয়ং ৬৯, কনওয়ে ১৩, টেলর ৩৭, নিকোলস ০, ব্লান্ডেল ০, রবীন্দ্র ৬; তাসকিন ১/ ২২, এবাদত ৪/৩৯)