ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া হেরে যাওয়ায় সেমিতে যাওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয় বাংলাদেশের সামনে। সমীকরণ ছিল আফগানদের দেওয়া টার্গেট ১২.১ ওভারের মধ্যেই টপকাতে হবে বাংলাদেশকে। অর্থাৎ ৭৭ বলে ম্যাচ না জিতলে সেমিতে যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের। সেটা করতে আফগানদের যত কমে সম্ভব আটকে রাখতে হতো বাংলাদেশকে। আফগানদের সেই সংগ্রহটা শেষমেশ গিয়ে থেমেছে ১১৫ রানে। সেটাও হতো না যদি না শেষ ওভারে ১৫ রান খরচ করতেন তানজিম সাকিব।
আপাত দৃষ্টিতে এই সংগ্রহ বেশি না মনে হলেও আফগানদের কঠিন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এই উইকেটে এই রানই যে পাহাড়সম সেটা বলায় যায়। এরপরও লক্ষ্যটা যখন সেমিফাইনালের। তখন একটা সুযোগ তো নিতেই হবে বাংলাদেশকে। করতে হবে বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটিংটা।
এদিন সেমি নিশ্চিত করতে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় আফগানরা। বাংলাদেশের একাদশে ফিরেন তাসকিন ও সৌম্য সরকার। বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠানোর উদ্দেশ শক্ত টার্গেট দিয়ে ম্যাচে জয় তোলা। নিশ্চিত করা সেমি ফাইনাল। তবে বাংলাদেশ আফগানদের শুরু থেকে চাপেই রেখেছিল। শুরুর দিকে উইকেটের দেখা না পেলেও রান তুলতে বেশ ভোগতে হয়েছে আফগান ব্যাটারদের। পাওয়ারপ্লেতে আফগানদের সংগ্রহ মোটে ২৭ রান। তবে এরপর খোলস ছেড়ে বের হওয়ার ইঙ্গিত মিলছিল রহমানুল্লাহ গুরবাজ-ইব্রাহিম জাদরান জুটির।
এই জুটিতে আফগানরা পেরিয়ে গিয়েছিল ৫০ রানের ঘর। এই বিশ্বকাপে যা চতুর্থবারের মতো। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম জুটি হিসেবে একই আসরে চার বার ৫০ পেরনো জুটি গড়লেন গুরবাজ-ইব্রাহিম। যার মধ্যে আগের তিনটিই আবার শত রান পেরনো জুটি। এমন জুটি তাই বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠছিল দুশ্চিন্তার কারণ। তবে ফিফটির পরপরই ইব্রাহিমকে থামিয়ে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশকে এনে দেন বহুল কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু।
এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাই এসে সঙ্গ দিতে থাকেন গুরবাজকে। তবে খুব বেশি সময় ইনিংস টানতে পারেননি তারা। ওমরজাই ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরার পর ১৭ তম ওভারে এসে আগ্রাসী হয়ে উঠতে থাকা গুরবাজকে ফেরায় রিশাদ। এরপর ওই ওভারেই তুরে নেয় গুলবাদিন নাইবকে। বড় ধাক্কা খায় আফগানরা। পরের ওভারে মোহাম্মদ নবীকে সাজঘরে ফিরিয়ে আফগানদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড়া করানোকেও শঙ্কায় ফেলে দেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত আফগানদের ইনিংস থামে ৫ উইকেটে ১১৫ রানে। শেষ ওভারে ১৫ রান খরচ করেছেন তানজিম সাকিব।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১২ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মুস্তাফিজ ১৭ রান খরচায় শিকার করেছেন ১ উইকেট। ২৬ রান খরচায় রিশাদের শিকার ৩ উইকেট।
ক্রিকেটখোর/অড