সর্বশেষ বেতন কাঠামো অনুসারে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের একজন ক্রিকেটার প্রতি টেস্টের জন্য ৬ লাখ, ওয়ানডে ম্যাচের জন্য ৩ লাখ এবং টি-টোয়েন্টির জন্য ২ লাখ টাকা ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন।
ছেলেদের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের মেয়েরাও প্রতিটি ম্যাচের জন্যই ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন। জাতীয় দলের মেয়েদের অবশ্য এখনো টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেনি, তারা শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটই খেলেন। তবে তারা যে ম্যাচ ফি পান সেই অঙ্কটা মুখে আনতে চান না ক্রিকেট বোর্ডের উইমেন্স উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল!
দেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিককে বিব্রত কন্ঠে বলেন, ‘এটা এতই নগণ্য যে না বলাই ভালো!’ তবুও শেষমেশ লজ্জিত মুখে বলেন, ‘ওরা বর্তমানে ম্যাচপিছু মাত্র ১০০ ইউএস ডলার করে পায়!’
যার মানে জাহানারা-সালমারা একটি ম্যাচ খেলে মাত্র সাড়ে আট হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন। যেখানে ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটাররা পুরুষ ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন, ভারতের নারীরা ম্যাচপ্রতি ৬০ হাজার রূপির বেশী পেয়ে থাকেন। সেখানে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি’র মেয়েরা মাত্র সাড়ে ৮ হাজার টাকা পান, তাও আবার বছরে ম্যাচই খেলা হয় গড়ে ১০-১২টি।
তবে দ্রুতই যে নারী ক্রিকেটারদের পুরুষ ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি দেয়া সম্ভব নয়, সেটা নাদেলও মানছেন। তাই তিনি তার কমিটিকে নিয়ে চাইছেন নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি কিছুটা হলেও বাড়িয়ে মোটামুটি সম্মানজনক একটা পরিমাণে নিয়ে আসার। সেই চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ওরা মাত্র ১০০ ডলার পায়। চেষ্টা করছি তা বাড়িয়ে ৫০০ ডলার করার। সে জন্য প্রস্তাবও তৈরী করা হয়েছে। আশা করি, বিসিবি মেয়েদের ম্যাচ ফি বাড়িয়ে দেবে।’
ম্যাচ ফি বাড়ানোর পাশাপাশি মেয়েদের বেতন বাড়ার খুশির খবরও দিয়েছেন নাদেল। বর্তমানে চারটি ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে ৫০, ৪০, ৩০ ও ২০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন চুক্তিবদ্ধ ২০ ক্রিকেটার। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার বাড়ানোর পাশাপাশি বেতনও বাড়বে নারীদের।
এই বিষয়ে নাদেল জানিয়েছেন, ‘বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছি আমরা উইমেন্স উইংয়ের পক্ষ থেকে। এটি হয়ে যাওয়ার কথা। প্রতি ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার টাকা করে বেতন বাড়বে মেয়েদের। আর চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা হবে ২৫।’