ঘরের মাঠে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা নিউজিল্যান্ড এগিয়ে যায় কনওয়ের ব্যাটে! কনওয়ের ৯৯ রানের পর সোধির ৪ উইকেট শিকার। সাউদি-বোল্টদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ হাসি হেসেছে উইলিয়ামসন বাহিনী।
এর আগে হ্যাগলি ওভালে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ! ফিঞ্চের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিলো সেটি শুরুতে প্রমাণ করলেও তরুণ কনওয়ের ব্যাটিংয়ের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। এছাড়াও ফিলিপস-নিশানের ক্যামিওতে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে! সেই সাথে টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে ৪র্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়েন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পক্ষে স্যামস এবং রিচার্ডসন ২ টি করে উইকেট শিকার করেন।
১৮৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই হারায় অধিনায়ক ফিঞ্চকে। এরপর ফিলিপও দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। সেই চাপ আরো বাড়িয়ে দেন বোল্ট! দলীয় ১৬ রানে ওয়েডকে সাজঘরে পাঠান নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। এরপর ১৯ রানের মাথায় ম্যাক্সওয়েলও ফিরেন সাজঘরে। ৫ ম উইকেটে মার্শ-স্টয়নিস প্রতিরোধ গড়লেও সেটা দীর্ঘ হয়নি। মার্শের ৪৫ এবং অ্যাগারের ২৩ রানে হারের ব্যবধান কমে মাত্র! নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পক্ষে সোধি ৪, সাউদি এবং বোল্ট ২ টি করে উইকেট শিকার করেন। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হবার আগে সংগ্রহ করে ১৩১ রান। যার ফলে ৫৩ রানের জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
নিউজিল্যান্ড – ১৮৪/৫(২০)
কনওয়ে ৯৯*, ফিলিপস ৩০
রিচার্ডসন ৩১/২, স্যামস ৪০/২
অস্ট্রেলিয়া ১৩১/১০(১৭.৩)
মার্শ ৪৫, অ্যাগার ২৩
সোধি ২৮/৪, সাউদি ১০/২
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৫৩ রানে জয়ী।
