ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড দলপতি টম লাথাম।
নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন তামিম ইকবাল খান ও লিটন কুমার দাস। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন মাত্র ১৯ রান। ব্যাক্তিগত ১৩ রানে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম শিকার হয়ে তামিম ইকবাল সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
তামিমের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। একই ওভারে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সৌম্য সরকার। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে লিটন-মুশফিক যোগ করেন ২৩ রান। ব্যাক্তিগত ১৯ রানে জেমস নিশামের প্রথম শিকার হয়ে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশ নিজেদের তৃতীয় উইকেটটি হারায়।
লিটনের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক-মিথুন যোগ করেন ২৭ রান। ব্যাক্তিগত ২৩ রানে জেমস নিশামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মুশফিকুর রহিম সাজঘরে ফিরে গেলে বাংলাদেশ তাদের চতুর্থ উইকেট হারায়। মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহ ক্রিজে আসার পরপরই দূর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের ফাদে পড়ে ব্যাক্তিগত ৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন।
মিথুনের পর ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ১ রান যোগ করেই মিচেল স্যান্টনারের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। ক্রিজে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং শুরু করা মাহেদি হাসান ব্যাক্তিগত ১৪ রানে মিচেল স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান মাহেদি হাসান।
মাহেদির পর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। সকল ব্যাটসম্যানের যাওয়া আসার মিছিলে অন্যপ্রান্তে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করতে থাকেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে ব্যাক্তিগত খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ব্যাক্তিগত ২৭ রানে ম্যাট হেনরির বলে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পর ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ। ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ১ রানে ট্রেন্ট বোল্টের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন হাসান মাহমুদ। হাসানের পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজ ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ১০ রানে তাসকিন আহমেদ সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি ঘটে ১৩১ রানে।
শেষ পর্যন্ত ৪১.৫ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৭(৫৪) রান, মুশফিকুর রহিম ২৩(৪৯) রান ও লিটন দাস ১৯(৩৬) রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে ট্রেন্ট বোল্ট ৪ উইকেট, মিচেল স্যান্টনার ও জেমস নিশাম ২টি করে উইকেট ও ম্যাট হেনরি ১টি উইকেট নেন।
১৩২ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। ওপেনিং জুটিতে গাপটিল-নিকোলস যোগ করেন ৫৪ রান। ব্যাক্তিগত ৩৮ রানে তাসকিন আহমেদের বলে মার্টিন গাপটিল সাজঘরে ফিরলে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
গাপটিলের পর ক্রিজে আসেন ডেবন কনওয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিকোলস-কনওয়ে যোগ করেন ৬৪ রান। জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে হাসান মাহমুদের বলে ব্যাক্তিগত ২৭ রানে সাজঘরে ফিরেন ডেভন কনওয়ে। কনওয়ের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। ক্রিজে এসে দ্রুতই ম্যাচ ফিনিশিং দেন উইল ইয়াং।
শেষ পর্যন্ত ২১.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১৩২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে হেনরি নিকোলস ৪৯(৫৩)* রান, মার্টিন গাপটিল ৩৮(১৯) রান ও ডেভন কনওয়ে ২৭(৫২) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ ১টি করে উইকেট নেন।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- ট্রেন্ট বোল্ট।
বাংলাদেশ একাদশঃ- তামিম(ক্যাপ্টেন), লিটন, সৌম্য, মুশফিক, মিথুন, মাহমুদুল্লাহ, মিরাজ, মাহেদি, তাসকিন, হাসান ও মুস্তাফিজ।
নিউজিল্যান্ড একাদশঃ- গাপটিল, নিকোলস, কনওয়ে, ইয়ং, লাথাম (ক্যাপ্টেন), নিশাম, মিচেল, স্যান্টনার, জেমিসন, হেনরি ও বোল্ট।