বৃথা গেলো জাকির হাসানের ১৪০ রানের ইনিংস। ম্যাচে মাসুম খান টুটুলের ৫ উইকেট শিকারে ৮ উইকেটে জিতলো খুলনা।
টায়ার-১ এর ম্যাচে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। সাবলীলভাবে ব্যাটিং শুরু করলেও দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। দ্বিতীয় উইকেটে রবিউলের সাথে ১১০রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস। ৯০ রানে ইমরুল আউট হন। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে তুষার ইমরান যথাক্রমে সোহানের সাথে ৬১, জিয়ার সাথে ৪৫ ও নাহিদুলের সাথে ৩৭ রানের জুটি গড়েন। দূর্ভাগ্যবশত রাহীর ডিরেক্ট থ্রো’তে ৯৯ রানে আউট হন তুষার! এরপর নাহিদুল-মইনুল ধরে খেলতে থাকলেও ২১ বল মোকাবিলা করে মইনুল আউট হলে দিনের খেলার সমাপ্তি ঘটে।
৩০৮-৭ এ দ্বিতীয় দিন শুরু করে খুলনা। আগেরদিনে শেষবিকেলে প্রতিরোধ গড়া নাহিদুল ৪৮ করে আউট হলে এরপরই ২৩ রানে আউট হন আব্দুল হালিম। ফলে ৩৭৫ রানে শেষ হয় খুলনার প্রথম ইনিংস। আবু জায়েদ ও এবাদত উভয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরতেই উইকেট হারায় সিলেট। আরেক অপেনার ইমতিয়াজ করেন ৩৭। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট দল। ফলশ্রুতিতে ১৩০ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে দিনের খেলার সমাপ্তি ঘটায় তারা। ৩০ রানে অপরাজিত আছেন এনামুল জুনিয়র। মাসুম খান টুটুল ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ২৪৫ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছেন সিলেট।
খুলনার ৩৭৫ রানে জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ১৩০ রানে ছিলো সিলেট। সেখান থেকে তৃতীয় দিনের শুরুতেই আর মাত্র ৪ রান যোগ করেই অল আউট হয় সিলেট। ফলো-অনে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। দুই অপেনারই ইনিংস বড় করতে পারেনি। এরপর অমিত হাসান এবং জাকির হাসান ম্যাচের হাল ধরেন, দুজনে ১১০ রানের জুটি গড়েন। অমিত ৬৬ রানে আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম শতক তুলে নেন জাকির হাসান। তবে অপরপ্রান্তে একসময় ১৭ রানে পিছিয়ে থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। স্ট্যাম্পের পেছনে দারুণ ছিলেন নুরুল হাসান সোহান, প্রথম ইনিংসে ৩ ডিসমিসালের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ৩টি ডিসমিসাল করেন। দিনশেষে সিলেটের সংগ্রহ ২৫০-৫। ৯ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে তারা।
শেষদিনে তারা আর মাত্র ৫৮ রান যোগ করতেই অল আউট হয়। সেঞ্চুরিয়ান জাকির হাসান ১৪০ রানে সাজঘরে ফিরেন। আব্দুল হালিম ৪ উইকেট নেন।
খুলনার টার্গেট দাঁড়ায় ৬৮ রান। সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট হন রবিউল, তার আগে ১৪ রান করেন তিনি। এরপর ইমরুল-ইমরান মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিতে থাকেন। লাঞ্চ বিরতির পর অষ্টম ওভারে রাহীকে তিন ছক্কা মেরে ম্যাচটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন ইমরান উজ জামান। দলীয় ৬৫ রানে কায়েস শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিলে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। এরপর তুষারকে নিয়ে বাকী রান সংগ্রহ করেন ইমরান। ছক্কা মেরে ম্যাচে জেতান তিনি।
দল হারলেও ইনিংস বাঁচানো ১৪০ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরা হলেন জাকির হাসান।
দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনা মোকাবেলা করবে রংপুরকে। সিলেট মুখোমুখি হবে ঢাকা’র।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
খুলনা(প্রথম ইনিংস): ৩৭৫-১০।
তুষার-৯৯, ইমরুল-৯০;রাহী-৯৪/৩, এবাদত-৭৯/৩।
সিলেট: ১৩৪-১০।
ইমতিয়াজ-৩৭, এনামুল জুনিয়র-৩০;মাসুম-৩৪/৪, মিনহাজ-৩১/৪।
সিলেট(দ্বিতীয় ইনিংস, ফলো-অন): ৩০৮-১০।
জাকির-১৪০, অমিত-৬৬;মইনুল-৩৬/৩, হালিম-৬২/৪।
খুলনা: ৭৩-২।
রবিউল-১৪, ইমরুল-১৮,ইমরান-৩৩*;রেজাউর-৫/১।
ফলাফলঃ ৮ উইকেটে জয়ী খুলনা।