পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ফুরফুরে মেজাজে তৃতীয় ম্যাচে নামে বাংলাদেশের উদীয়মান নারীরা। বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদীয়মান মেয়েরা নেমেছিলো সিরিজে ফেরার লক্ষ্যে। জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশায় দু’দলই তাদের একাদশে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। বাংলাদেশ দল জাহানারা ও ফারিহার পরিবর্তে লতা ও রাবেয়াকে নামায়। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলায় নামে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সফররত দলের অধিনায়ক সিনালো জাফটা। দুই অপেনার শুরুটা দারুণ করলেও নবম ওভারে ২৫ রানের মাথায় এন্ড্রি স্টেইনকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফেরান নাহিদা আক্তার। পরবর্তী ওভারে রিতু মনি জোড়া আঘাত হানেন। ৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন নন্ডুমিসো-বোসচ, দুজনে ২১ রান যোগ করার পর আউট হন নন্ডুমিসো। দ্রুতই আরো ২ উইকেট হারায় তারা। সপ্তম উইকেটে বোসচ-এন্ড্রুস মিলে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করলেও ২৫ রানের বেশী টেকেনি তাদের জুটি। লেগি রাবেয়ার জোড়া আঘাতে আট উইকেট হারায় আফ্রিকা। বাকী দুই উইকেট হারানোর আগে আরো ১৭ রান যোগ করতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকার টেল-এন্ডাররা। রিতু মনির বলে দশম উইকেট পড়ার আগে তাদের সংগ্রহ হয় মাত্র ৯২ রান। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন এনেকে বোসচ। স্বাগতিকদের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন রাবেয়া, নাহিদা ও রিতু।
ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০০ বলে মাত্র ৯৩ রান। ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শামীমা আউট হয়। এরপর মুর্শিদা-নিগারের ২৮ ও ফারজানা-মুর্শিদার ৪২ রানের জুটি জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় স্বাগতিকদের। জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে ৪৬ রান করে আউট হন মুর্শিদা খাতুন। পরের ওভারে চার নেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন লতা মন্ডল। ২২ ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ ও একইসাথে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশের ইমার্জিং মেয়েরা।
সিরিজে প্রথম সুযোগ পেয়েই বাজিমাৎ করা লেগস্পিনার রাবেয়া খান তার ৪-০-১৫-৩ বোলিং ফিগারের কল্যাণে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ, সিরিজের বাকী দুই ম্যাচে নিশ্চয়ই বাংলার মেয়েদের লক্ষ্য থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের বাংলাওয়াশ করা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দলঃ ৯২-১০।
এনেকে বোসচ- ৩০, এন্ড্রি স্টেইন- ১৯, মিচেলা- ১৮;
রিতু মনি- ১৬/৩, রাবেয়া খান- ১৫/৩, নাহিদা আক্তার- ২৫/৩।
বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দলঃ ৯৩-৪।
মুর্শিদা- ৪৬, ফারজানা- ১৬, নিগার- ১৩; মিচেলা- ২৩/১।