মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিপিএল টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের পঞ্চম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আবাহনী লিমিটেডের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৮ রান। ব্যাক্তিগত ৩ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের প্রথম শিকার হয়ে মাহেদি হাসান সাজঘরে ফিরলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
মাহেদির পর ক্রিজে আসেন জাকির হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য-জাকির যোগ করেন ৪৫ রান। ব্যাক্তিগত ৩০ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে সৌম্য সরকার প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তৃতীয় উইকেটে জুটিতে জাকির-ইয়াসির যোগ করেন ১৮ রান। ব্যাক্তিগত ২৭ রানে তানজিম হাসান সাকিবের প্রথম শিকার হয়ে জাকির হাসান সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।
জাকিরের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ১৬ রান যোগ করে মেহেদি হাসান রানার প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন আরিফুল হক। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে মেহেদি হাসান রানার দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন আরিফুল হক।আরিফুলের পর ক্রিজে আসেন মমিনুল হক সৌরভ। মমিনুল ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ১২ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইয়াসির আলী রাব্বি।
ইয়াসিরের পর ক্রিজে আসেন আকবর আলী। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন আকবর আলী। আকবরের পর ক্রিজে আসেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। অপর প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে ব্যাক্তিগত ২৫ রানে মেহেদি হাসান রানার তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মমিনুল হক সৌরভ। মমিনুলের পর ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ৩ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের চতুর্থ শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন নাসুম আহমেদ। নাসুমের পরে ক্রিজে আসেন মহিউদ্দিন তারেক। তারেক ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ২ রানে তানজিম হাসান সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের পক্ষে সৌম্য সরকার ৩০(২৪) রান, জাকির হাসান ২৭(২৫) রান ও মমিনুল হক ২৫(১২) রান করেন। আবাহনী লিমিটেডের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ উইকেট, মেহেদি হাসান রানা ৩ উইকেট, তানজিম হাসান সাকিব ২ উইকেট ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১টি উইকেট নেন।
১৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আবাহনী লিমিটেডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন লিটন দাস ও মুনিম শাহরিয়ার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১২ রান। ব্যাক্তিগত শূন্য রানে নাসুম আহমেদের বলে মুনিম শাহরিয়ার সাজঘরে ফিরলে আবাহনী লিমিটেড তাদের প্রথম উইকেট হারায়।
মুনিমের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ২২ রানে মাহেদি হাসানের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন লিটন দাস৷ লিটনের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম।তৃতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত-মুশফিক যোগ করেন ৩১ রান। ব্যাক্তিগত ১২ রানে মুকিদুল ইসলামের প্রথম শিকার সাজঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোসাদ্দেক হোসেন।
মোসাদ্দেকের পর ক্রিজে আসেন নাইম শেখ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ২ রান যোগ করে মাহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাইম শেখ । নাইমের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব । ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে শান্ত-আফিফ গড়েন ৪৯ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ১৪ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের প্রথম শিকার হয়ে আফিফ হোসেন সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। আফিফের পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সাইফউদ্দিনের পর ক্রিজে আসেন তানজিম হাসান সাকিব।সাকিব ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত পঞ্চাশোর্ধ (৫৮) ইনিংস খেলে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্তের পরে ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান রানা। ক্রিজে এসে খ্যব দ্রুত ৯ রান যোগ করেই রান আউটের ফাঁদের পড়ে সাজঘরে ফিরেন মেহেদি হাসান রানা। রানার পর ক্রিজে আসেন আরাফাত সানি। সানি যখন ক্রিজে আসেন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩ বলে ৩ রান। ১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন সাকিব-সানি।
শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১৩১ রান সংগ্রহ করে আবাহনী লিমিটেড। আবাহনীর পক্ষে ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৮(৪৯) রান, লিটন দাস ২২(১৭) রান ও আফিফ হোসেন ১৪(১৮) রান করেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের পক্ষে বল হাতে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৩ উইকেট, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মাহেদি হাসান ২টি করে উইকেট, নাসুম আহমেদ ১টি উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- আবাহনী লিমিটেড ১ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- নাজমুল হোসেন শান্ত।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স একাদশঃ- মাহেদি, সৌম্য, জাকির, ইয়াসির, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), আরিফুল, মমিনুল, আকবর, মুকিদুল, নাসুম, তারেক।
আবাহনী লিমিটেড একাদশঃ- মুনিম, লিটন, শান্ত, মুশফিক(ক্যাপ্টেন), মোসাদ্দেক, নাইম, আফিফ, সাইফউদ্দিন, সাকিব, রানা ও সানি।