মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিপিএল টি-টোয়েন্টি লিগের সুপার লিগের ৬ষ্ট ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক শুভাগত হোম।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন আব্দুল মজিদ ও পারভেজ হোসেন ইমন। ওপেনিং জুটিতে ইমন-মজিদ মিলে গড়েন ৫৮ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ৪৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে পারভেজ হোসেন ইমন সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।
ইমনের পর ক্রিজে আসেন শামসুর রহমান শুভ। শামসুর ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ১৪ রানে মুনির হোসেনের বলে সাজঘরে ফিরেন আব্দুল মজিদ। মজিদের পর ক্রিজে আসেন ইরফান শুক্কুর। ইরফান ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ৩ রানে শরিফুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শামসুর রহমান শুভ। শামসুরের পর ক্রিজে আসেন নাদিফ চৌধুরী। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৩ রান যোগ করে নাইম হাসানের বলে সাজঘরে ফিরেন নাদিফ চৌধুরী।
নাদিফের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ২৪ রানে রান আউট হয়ে ফিরে যান ইরফান শুক্কুর। ইরফানের পর ক্রিজে আসেন শুভাগত হোম চৌধুরী। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে শুভাগত-মাহমুদুল মিলে গড়েন ৪৯ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ২৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে শুভাগত হোম সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। শুভাগতের পর ক্রিজে আসেন আবু হায়দার রনি। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ১ রানে শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আবু হায়দার রনি। রনির পর ক্রিজে আসেন আসিফ হাসান। মাহমুদুল-আসিফ মিলে ইনিংসের বাকি বল গুলো খেলে আসেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে পারভেজ হোসেন ইমন ৪৫(২০) রান, মাহমুদুল হাসান ৩২(২৯)* রান ও শুভাগত হোম ২৫(১৫) রান করেন। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম ২টি করে উইকেট, নাইম হাসান ও মুনির হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
১৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন রনি তালুকদার ও রুবেল মিয়া। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ২৫ রান। ব্যাক্তিগত ৯ রানে আবু জায়েদ রাহির বলে রনি তালুকদার সাজঘরে ফিরলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
রনির পর ক্রিজে আসেন এনামুল হক বিজয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রুবেল-বিজয় মিলে গড়েন ৬৪ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ১৪ রানে শুভাগত হোমের বলে এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। বিজয়ের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। মিথুন ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ৬৫ রানে আসিফ হাসানের বলে সাজঘরে ফিরেন রুবেল মিয়া। রুবেলের পর ক্রিজে আসেন রকিবুল হাসান। রকিবুল ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ১৭ রানে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন।
মিথুনের পর ক্রিজে আসেন নাহিদুল ইসলাম। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৫ রান যোগ করে রান আউট হয়ে ফিরে যান নাহিদুল ইসলাম। নাহিদুলের পর ক্রিজে আসেন নাইম হাসান। রকিবুল-নাইম মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১৫৫ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ব্যাট হাতে রুবেল মিয়া ৬৫(৪০) রান, রকিবুল হাসান ৩১(২৫) ও মোহাম্মদ মিথুন ১৭(১৪) রান করেন৷ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে বল হাতে শুভাগত হোম, আবু জায়েদ রাহি ও আসিফ হাসান ১টি করে উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৫ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- রুবেল মিয়া।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের একাদশঃ- মজিদ, ইমন, শামসুর, ইরফান, নাদিফ, মাহমুদুল, শুভাগত(ক্যাপ্টেন), রনি, আসিফ, রাহি ও রুয়েল।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের একাদশঃ- রনি, রুবেল, বিজয়(ক্যাপ্টেন), মিথুন, রকিবুল, নাহিদুল, নাইম, দেলোয়ার, মুনির, মুস্তাফিজ ও শরিফুল।