১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এবাদত-সোহান নৈপুণ্যে মোহামেডানকে হারালো শেখ জামাল

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
বুধবার, ২৩ জুন , ২০২১ ১২:৫৬

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিপিএল টি-টোয়েন্টি লিগের সুপার লিগের ৭ম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন আব্দুল মজিদ ও পারভেজ হোসেন ইমন। ব্যাক্তিগত ১ রানে এবাদত হোসেনের প্রথম শিকার হয়ে আব্দুল মজিদ প্যাভিলিয়ন ফিরলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

মজিদের পর ক্রিজে আসেন ইরফান শুক্কুর। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইমন-শুক্কুর যোগ করেন ২৯ রান। ব্যাক্তিগত ১৭ রানে জিয়াউর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ইরফান শুক্কুর সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ইরফানের পর ক্রিজে আসেন শামসুর রহমান। তৃতীয় উইকেটে জুটিতে শামসুর-ইমন গড়েন ৬১ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ৪৬ রানে মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদির বলে পারভেজ হোসেন ইমন প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের অসাধারণ পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

ইমনের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল হাসান। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ৩ রান করে এবাদত হোসেনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুলের পর ক্রিজে আসেন শুভাগত হোম। ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে জিয়াউর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন শুভাগত হোম । শুভাগতের পর ক্রিজে আসেন নাদিফ চৌধুরী৷ নাদিফ ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ৪৯ রানে এবাদত হোসেনের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন শামসুর রহমান। শামসুরের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসিন আরাফাত। ইয়াসিন ক্রিজে আসার পরপরই শুভাগতের মতো ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে জিয়াউর রহমানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন নাদিফ চৌধুরী।

নাদিফের পর ক্রিজে আসেন রুয়েল মিয়া৷ ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন রুয়েল মিয়া। রুয়েলের পর ক্রিজে আসেন আসিফ হাসান। ইনিংসের শেষ বলে ব্যাক্তিগত ১ রানে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আসিফ হাসান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডানের পক্ষে ব্যাট হাতে শামসুর রহমান ৪৯(৪০) রান, পারভেজ হোসেন ইমন ৪৬(৩৫) রান ও ইরফান শুক্কুর ১৭(১৮) রান করেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে এবাদত হোসেন ও জিয়াউর রহমান ৩টি করে উইকেট, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি ১টি উইকেট নেন।

১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে আসেন সৈকত আলী ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে আবু জায়েদ রাহির বলে সাজঘরে ফিরেন সৈকত আলী।

সৈকতের পর ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আশরাফুল-ইমরুল গড়েন ৫৫ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ২৫ রানে শুভাগত হোমের বলে ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ইমরুলের পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান।তৃতীয় উইকেট জুটিতে সোহান-আশরাফুল যোগ করেন ২৯ রানের পার্টনারশিপ। ব্যাক্তিগত ৩৮ রানে আসিফ হাসানের বলে মোহাম্মদ আশরাফুল প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

আশরাফুলের পর ক্রিজে আসেন তানভীর হায়দার। তানভীর-সোহান মিলে ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

শেষ পর্যন্ত ১৯.০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেখ জামালের পক্ষে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ আশরাফুল ৩৮(৪২) রান, নুরুল হাসান সোহান ৩৬(৩১)* রান ও তানভীর হায়দার ৩২(১৭)* রান করেন। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে শুভাগত হোম, আবু জায়েদ রাহি ও আসিফ হাসান ১টি করে উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- এবাদত হোসেন চৌধুরী।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের একাদশঃ- মজিদ, ইমন, ইরফান, শামসুর, মাহমুদুল, শুভাগত(ক্যাপ্টেন), নাদিফ, ইয়াসিন, রুয়েল, আসিফ ও রাহি।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের একাদশঃ- সৈকত, আশরাফুল, ইমরুল, সোহান(ক্যাপ্টেন), তানভীর, নাসির, জিয়াউর, ইলিয়াস, সোহরাওয়ার্দী, মিনহাজুল ও এবাদত।

, , , , , , , , , ,

মতামত জানান :