একমাত্র টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে একাদশের বিপক্ষে মাঠে নামা বাংলাদেশ সাইফ-শান্তর ব্যাটে ভালো শুরুর পর সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে। সাকিব ছাড়াও ফিফটির দেখা পেয়েছে সাইফ – শান্ত।
দিনের শুরুতে জিম্বাবুয়ের হারারার তাকাসিনহা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল হক। স্বাগতিক বোলারদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামেন সাদমান ও সাইফ হাসান।ধীরগতির শুরুর দিনে ৩০ বলে শূন্য রানে সাদমানের বিদায়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় শান্ত ও সাইফের দারুণ ব্যাটিংয়ে। দুইজন মিলিয়ে বাড়িয়ে নিতে থাকেন রানের চাকা।
লাঞ্চ বিরতির পর ৬৫ রানে অপরাজিত থাকা সাইফ হাসান স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়লে শান্তর সাথে যুক্ত হোন অধিনায়ক মুমিনুল হক। এরপর দলীয় ৪৫ তম ওভারে শান্তও স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়লে ক্রিজে আসেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা সাকিব। মুমিনুলের সাথে গড়ে তোলেন জুটি, সাকিবের ব্যাট হতে থাকে চড়াও। ট্রি ব্রেকের আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯০ রান!
ট্রি-ব্রেকের পরে মাঠে নেমে বিদায় নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। মুমিনুল বিদায় নিলেও ৩৯ রানে অপরাজিত সাকিবকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন লিটন দাস। দলীয় ৬৩ তম ওভারে তিন বাউন্ডারিতে ৪৯ বলে ফিফটির দেখা পান সাকিব। এরপর আরও চড়াও হতে থাকেন তিনি। ব্যক্তিগত ৭৪ রানে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়ার সময় সাকিবের স্ট্রাইকরেট ছিলো ১৩২.১৪!
দিনের বাকি সময়টা লিটন-রিয়াদ ঝলকে কাটতে থাকলেও ব্যক্তিগত ৩৭ রানে লিটনও স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়লে মিরাজকে নিয়ে বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ! দিনশেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১৩ রান!
বাংলাদেশ একাদশ ১ম ইনিংস : ৩১৩/২ (৯০ ওভার)
সাইফ ৬৫(অবসর), শান্ত ৫২(অবসর), সাদমান ০, মুমিনুল২৯, সাকিব ৭৪(অবসর), লিটন ৩৭(অবসর), রিয়াদ ৪০, মিরাজ ৫
জংওয়ে ২১/১; ব্রাইটন চিপুঙ্গু ৩৪/১