হারারের স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের দলপতি ব্রেন্ডন টেইলর।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্যাট হাতে ওপেন করতে ক্রিজে আসেন কামানুকামওয়ে ও মারুমানি। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৩ রান। ব্যক্তিগত ১ রানে তাসকিন আহমেদের বলে কামানুকামওয়ে সাজঘরে ফিরলে জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
কামানুকামওয়ের পর ক্রিজে আসেন রাগিস চাকাভা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মারুমানি-চাকাভা গড়েন ৩০ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৩ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে মারুমানি প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। মারুমানির পর ক্রিজে আসেন ব্রেন্ডন টেইলর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে টেইলর-চাকাভা গড়েন ৪৭ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাকিব আল হাসানের প্রথম শিকার হয়ে রাগিস চাকাভা সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে।
চাকাভার পর ক্রিজে আসেন ডিওন মায়ারস। টেইলর-মায়ারস মিলে গড়েন ৩১ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে শরিফুল ইসলামের বলে ব্রেন্ডন টেইলর সাজঘরে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের। টেইলরের পর ক্রিজে আসেন মাধেভেরে। মাধেভেরে-মায়ারসের ৩৪ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে যখন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ডিওন মায়ারস সাজঘরে ফিরেন।
মায়ারসের পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। ৬ষ্ট উইকেট জুটিতে মাধেভেরে-রাজা মিলে গড়েন ৬৩ রানের পার্টনারশিপ।ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি হাকিয়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাধেভেরে সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। মাধেভেরের পর ক্রিজে আসেন জংয়ে। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৮ রান যোগ করেই শরিফুল ইসলামের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান জংয়ে। জংয়ের পর ক্রিজে আসেন মুজারাবানি। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই শরিফুল ইসলামের চতুর্থ শিকার হোন ব্লেসিং মুজারাবানি। মুজারাবানির পর ক্রিজে আসেন চাতারা। চাতারা ক্রিজে আসার পরপরই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা। রাজার পর ক্রিজে আসেন এনগারাভা। চাতারা-এনগারাভা মিলে ইনিংসের বাকিবল গুলো খেলে আসেন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্যাট হাতে মাধেভেরে ৫৬(৬৩) রান, ব্রেন্ডন টেইলর ৪৬(৫৭) রান ও ডিওন মায়ারস ৩৪(৫৯) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে শরিফুল ইসলাম ৪ উইকেট, সাকিব আল হাসান ২ উইকেট, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।
২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে তামিম-লিটন যোগ করেন ৩৯ রান।ব্যক্তিগত ২০ রানে জংয়ের প্রথম শিকার হয়ে তামিম ইকবাল প্যাভিলিয়ন ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
তামিমের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ২১ রানে এনগারাভার বলে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস৷ লিটনের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন৷ ক্রিজে এসে নামের পাশে ২ রান যোগ করেই জংয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মিথুন। মিথুনের পর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৫ রান যোগ করেই রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন মোসাদ্দেক হোসেন।
মোসাদ্দেকের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব-রিয়াদ গড়েন ৫৫ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৬ রানে মুজারাবানির বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্যাভিলিয়ন ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৬ রান যোগ করেই মাধেভেরের বলে সাজঘরে ফিরেন মেহেদি হাসান মিরাজ৷ মিরাজের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন। ৭ম উইকেট জুটিতে ২৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব-আফিফ। ব্যক্তিগত ১৫ রানে সিকান্দার রাজার বলে আফিফ হোসেন সাজঘরে ফিরেলে তাদের পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে।
আফিফের পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৮ম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে ৬৯ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসান।
শেষ পর্যন্ত ৪৯.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৯৬(১০৯)* রান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২৮(৩৪)* রান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৬(৩৫) রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জংয়ে ২ উইকেট, মুজারাবানি, এনগারাভা, মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা ১টি করে উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ৩ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ🇧🇩 একাদশঃ- তামিম(ক্যাপ্টেন), লিটন, সাকিব, মিথুন, মোসাদ্দেক, মাহমুদুল্লাহ, মিরাজ, আফিফ সাইফউদ্দিন, তাসকিন ও শরিফুল।
জিম্বাবুয়ে🇿🇼 একাদশঃ- কামানুকামওয়ে, মারুমানি, চাকাভা, টেইলর(ক্যাপ্টেন), মায়ারস, মাধেভেরে, রাজা, জংয়ে, মুজারাবানি, চাতারা ও এনগাভারা।