২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট , ২০২১ ১০:০৮

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড।

প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ১৫ রান। ব্যক্তিগত ২ রানে জস হ্যাজলউডের প্রথম শিকার হয়ে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাইম-সাকিব গড়েন ২২ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ৩০ রানে এডাম জাম্পার বলে মোহাম্মদ নাইম শেখ সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। নাইমের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে রিয়াদ-সাকিব গড়েন ৩৬ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২০ রানে জস হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্যাভিলিয়ন ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৩ রান যোগ করে এন্ডু টাইয়ের বলে সাজঘরে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান। সোহানের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফ ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৩৬ রানে জস হ্যাজলউডের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৪ রান যোগ করে মিচেল স্টার্কের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শামীমের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। ইনিংসের শেষ বলে ব্যক্তিগত ২৩ রানে মিচেল স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসান ৩৬(৩৩) রান, মোহাম্মদ নাইম শেখ ৩০(২৯) রান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৩(১৭) রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বল হাতে জস হ্যাজলউড ৩ উইকেট, মিচেল স্টার্ক ২ উইকেট, এন্ডু টায় ও এডাম জাম্পা ১টি করে উইকেট নেন।

১৩২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন এলেক্স ক্যারি ও জস ফিলিপি। ইনিংসের প্রথম বলেই এলেক্স ক্যারিকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রো এনে দেন মাহেদি হাসান।

ক্যারির পর ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। মার্শ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৯ রানে নাসুম আহমেদের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন জস ফিলিপি। ফিলিপির পর ক্রিজে আসেন হেনরিকস। ক্রিজে এসে নামের পাশে ১ রান যোগ করেই সাকিব আল হাসানের বলে সাজঘরে ফিরেন হেনরিকস। হেনরিকসের পর ক্রিজে আসেন ম্যাথু ওয়েড। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মার্শ-ওয়েড গড়েন ৩৮ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৩ রানে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ম্যাথু ওয়েড সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

ওয়েডের পর ক্রিজে আসেন এগার। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৭ রান যোগ করে নাসুম আহমেদের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এগার৷ এগারের পর ক্রিজে আসেন টার্নার। টার্নার ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ৪৫ রানে নাসুম আহমেদের চতুর্থ শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মিচেল মার্শ। মার্শের পর ক্রিজে আসেন মিচেল স্টার্ক। স্টার্ক ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৮ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন টার্নার। টার্নারের পর ক্রিজে আসেন এন্ডু টয়। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই শরিফুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন এন্ডু টায়। টায়ের পর ক্রিজে আসেন এডাম জাম্পা।ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই শরিফুল ইসলামের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন এডাম জাম্পা। জাম্পার পর ক্রিজে আসেন জস হ্যাজলউড। ইনিংসের শেষ বলে ব্যক্তিগত ১৪ রানে মিচেল স্টার্ককে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুস্তাফিজুর রহমান।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে মিচেল মার্শ ৪৫(৪৫) রান, মিচেল স্টার্ক ১৪(১৪) রান ও মাথু ওয়েড ১৩(২৩) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে নাসুম আহমেদ ৪ উইকেট, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম ২টি করে উইকেট, মাহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট নেন।

ফলাফলঃ- বাংলাদেশ ২৩ রানে বিজয়ী।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- নাসুম আহমেদ।

বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, সৌম্য, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), সোহান, আফিফ, শামীম, মাহেদি, মুস্তাফিজ, শরিফুল ও নাসুম।

অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ- ক্যারি, ফিলিপি, মার্শ, হেনরিকস, ওয়েড, এগার, টার্নার, স্টার্ক, টায়, জাম্পা ও হ্যাজলউড।

, , ,

মতামত জানান :