মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ২৪ রান।ব্যক্তিগত ৮ রানে জস হ্যাজলউডের প্রথম শিকার হয়ে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-নাইম গড়েন ২৪ রানের পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ১৫ রানে জস হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাকিব আল হাসান। প্যাভিলিয়নে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই মিচেল সুইপস্যানের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে নিজের প্রথম বলেই কোন রান না করে মিচেল সুইপস্যানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নুরুল হাসান সোহান।
সোহানের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফ ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২৮ রানে মিচেল সুইপস্যানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ নাইম শেখ। নাইমের পর ক্রিজে আসেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শামীম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২০ রানে এস্টন এগারে বলে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফের পরে ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। মাহেদি ক্রিজে আসার পরপরই ব্যক্তিগত ৩ রানে এন্ডু টাইয়ের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
শামীমের পর ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ। নাসুম ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ২৩ রানে এন্ডু টাইয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহেদি হাসান। মাহেদির পর ক্রিজে আসেন শরিফুল ইসলাম। ক্রিজে এসে নামের পাশে কোনো রান না যোগ করেই এন্ডু টাইয়ের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন শরিফুল ইসলাম।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নাইম শেখ ২৮(৩৬) রান, মাহেদি হাসান ২৩(১৬) রান ও আফিফ হোসেন ২০(১৫) রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বল হাতে মিচেল সুইপস্যান ও এন্ডু টায় ৩টি করে উইকেট, জস হ্যাজলউড ২ উইকেট ও এস্টন এগার ১টি উইকেট নেন।
১০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন বেন ম্যাকডার্মোট ও ম্যাথু ওয়েড। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ৩ রান। ব্যক্তিগত ২ রানে মাহেদি হাসানের প্রথম শিকার হয়ে ম্যাথু ওয়েড সাজঘরে ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
ওয়েডের পর ক্রিজে আসেন ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিশ্চিয়ান-ম্যাকডার্মোট যোগ করেন ৪৪ রান। ব্যক্তিগত ৫ রানে নাসুম আহমেদের বলে বেন ম্যাকডার্মোট সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। ম্যাকডার্মোটের পর ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। মার্শ ক্রিজে আসার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ব্যক্তিগত ৩৯ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন।
ক্রিশ্চিয়ানের পর ক্রিজে আসেন হেনরিকস। ক্রিজে এসে নামের পাশে ৪ রান যোগ করে রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন হেনরিকস। হেনরিকসের পর ক্রিজে আসেন এলেক্স ক্যারি। ক্রিজে এসে নামের পাশে ১ রান যোগ করে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান এলেক্স ক্যারি। ক্যারির পর ক্রিজে আসেন এস্টন টার্নার। টার্নার ক্রিজে আসার পর ব্যক্তিগত ১১ রানে মাহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মিচেল মার্শ। মার্শের পর ক্রিজে আসেন এস্টন এগার। ৭ম উইকেট জুটিতে এগার-টার্নার যোগ করেন ৩৪ রান। ব্যক্তিগত ২৭ রানে শরিফুল ইসলামের বলে এস্টন এগার সাজঘরে ফিরলে তাদের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে। এগারের পর ক্রিজে আসেন এন্ডু টায়। টায়-টার্নার মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১০৫ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্যাট হাতে ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ৩৯(১৫) রান, এস্টন এগার ২৭(২৭) রান ও মিচেল মার্শ ১১(১৫) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদি হাসান ২টি করে উইকেট, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে বিজয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- মিচেল সুইপস্যান।
বাংলাদেশ একাদশঃ- নাইম, সৌম্য, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), সোহান, আফিফ, শামীম, মাহেদি, নাসুম, শরিফুল ও মুস্তাফিজ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ- ম্যাকডার্মোট, ওয়েড(ক্যাপ্টেন), ক্রিশ্চিয়ান, মার্শ, হেনরিকস, ক্যারি, টার্নার, এগার, টায়, সুইপস্যান ও হ্যাজলউড।